বিশেষভাবে সক্ষম। সম্বল বলতে ছোট্ট একটা দোকান। মাসিক আয় মেরেকেটে হাজার দশেক। অথচ তাঁকেই নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। জানা নো হয়েছে তাঁর দোকানে নাকি ১২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সত্যিই কী তাই! নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু? আসুন শুনে নিই।
সামান্য এক মুদিখানার দোকান। আকারে বহরে একেবারেই ছোট। দোকানের মালিকও বিশেষভাবে সক্ষম। কোনোক্রমে সংসার চালান। অথচ তাঁর কাছেই এসেছে আয়কর দপ্তরের নোটিশ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ওই দোকানে নাকি ১২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
আরও শুনুন: ‘জল-বিস্কুট খেয়ে যাবেন’, যাত্রীদের নীরবেই অনুরোধ অটোচালকের, মুগ্ধ নেটদুনিয়া
এমন চিঠি হাতে পেয়েই কার্যত মাথায় হাত পড়ে রাজস্থানের কৃষ্ণগোপালের। রাজস্থানের ভিলওয়ারা শহরে তাঁর ছোট্ট একটা মুদিখানার দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আয়ের উপর ভর করেই সংসার চালান কৃষ্ণগোপাল। শারীরিক ভাবেও তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নন। বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাঁর শরীরে। পরিবারের সদস্য বলতে দুই সন্তান ও স্ত্রী। তবু একপ্রকার হাসিমুখে দিন কাটাতেন কৃষ্ণগোপাল। কিন্তু হঠাৎ তাঁর মাথায় বাজ পড়ে আয়কর দপ্তরের পাঠানো এক চিঠি দেখে। সেখানে উল্লেখ করা ছিল তাঁর দোকানে ১২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। অবিলম্বে সেই লেনদেনের হিসাব জমা করতে বলা হয়েছিল ওই চিঠির মাধ্যমে। উল্লেখ করা ছিল নির্দিষ্ট তারিখও। সাধারণত এই নির্দেশ অমান্য করলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সে কথা ভালোমতোই জানতেন কৃষ্ণগোপাল। এদিকে এই কাজ যে কখনই তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ ছিল না তাঁর। কারণ প্রতি মাসে এই দোকান থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় হয় তাঁর। সেখানে তার কয়েকশো গুণ টাকা কীভাবে লেনদেন সম্ভব তা ভেবেই কুল পাচ্ছিলেন না তিনি।
আরও শুনুন: ভারতীয় ‘কামসূত্র’ দিল খোঁজ, যৌনতৃপ্তির নতুন উপায় পেয়ে বেজায় খুশি ভিনদেশি মডেল
উপায় না বুঝে একজন আর্থিক উপদেষ্টার দ্বারস্থ হন কৃষ্ণ। তারপরই আসল সত্যি সামনে আসে। জানা যায়, কৃষ্ণ গোপালের প্যান কার্ড কারচুপি করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন কোনও বড় মাপের ব্যবসায়ী। এক্ষেত্রে সুরাটের কোনও হীরে ব্যবসায়ী এমনটা করেছেন বলে জানতে পারেন কৃষ্ণর আর্থিক উপদেষ্টা। তাঁর পরামর্শের আয়কর দপ্তরের কাছে নিজের অবস্থার কথা বিস্তারিত ভাবে জানান কৃষ্ণ। যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। আগেও প্যান কার্ড কারচুপি করে গরিব মানুষদের চক্রান্তের শিকার হওয়ার খবর এসেছিল। কোটি কোটি টাকার লেনদেনের নোটিশ পেয়েছেন দিনমজুর থেকে আরম্ভ করে দরিদ্র কৃষকও। তবে আয়কর দপ্তর এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।