মসজিদে নমাজ পাঠের পর উচ্চারিত হোক ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি। তাতে গলা মেলান সকলে। একইভাবে মন্দিরেও, আরতি শেষে ভারতমাতার নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হোক। সম্প্রতি ঠিক এমনই দাবি তুললেন জনপ্রিয় হিন্দু ধর্মগুরু। নেপথ্যে কারণ হিসেবে কী ব্যাখ্যা তাঁর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মন্দির-মসজিদেও শোনা যাক বন্দেমাতরম। এমনটাই চাইছেন বাগেশ্বর ধামের ধীরন্দ্র শাস্ত্রী। নেপথ্যে বিশেষ যুক্তিও সাজিয়েছেন। তাঁর দাবি, এমনটা করলেই প্রকৃত দেশভক্ত কে, সেটা বোঝা যাবে। মন্দিরের ক্ষেত্রে আরতির পর এবং মসজিদে নমাজ পাঠের শেষে সকলকে বন্দেমাতরমে গলা মেলালোন নিদান দিয়েছেন জনপ্রিয় এই ধর্মগুরু।
সোশাল দুনিয়ায় ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বেশ জনপ্রিয়। সেখানে অবশ্যই তাঁর পরিচয় বাগেশ্বর বাবা হিসেবে। তাঁর বাণী পাথেয় করে চলেন অনেকেই। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায় হাজার হাজার ভক্ত মন দিয়ে তাঁর প্রবচন শুনছেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সকলকে পরামর্শ দেন ইনি। সামাজিক ইস্যুও বাদ পড়ে না, এর আগে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। সেইসব নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। তাতে ধর্মগুরুর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে বইকী! এবার ফের দেশাত্মবোধের প্রসঙ্গ টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বাগেশ্বর বাবা। তাঁর কথায়, প্রকৃত দেশভক্ত কারা সেটা বোঝা ভীষণ জরুরি! সেক্ষেত্রে বন্দেমাতরম ধ্বনিকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলেই মনে করছেন ধর্মগুরু। অবিলম্বে নিয়ম করে মন্দির আর মসজিদে বন্দেমাতরম বলা শুরু হোক। যারা বলতে চাইবেন না তাঁরা কোনওভাবেই দেশভক্ত নন, এমনটাও সাফ ইঙ্গিত বাগেশ্বর বাবার। তাঁর কথায়, এই অভ্যাস প্রত্যেকের মনে দেশভক্তির জন্ম দেবে। যা ভারতের সামগ্রিক উন্নতির জন্য একান্ত প্রয়োজন। যদিও তাঁর কথায় উঠে এসেছে সনাতন ধর্মের প্রসঙ্গও। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে সনাতন ধর্মও রক্ষা পাবে, এমনটাও বলতে চেয়েছেন তিনি।
আসলে, এই মাসেই শুরু হচ্ছে সনাতনী একতা যাত্রা। ১৬০ কিমি দীর্ঘ এই যাত্রায় পা মেলাবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু সন্তর। সনাতন ধর্মের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাই এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য। তাই আয়োজকরা চাইছেন, সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এতে অংশ নিন। জানা গিয়েছে, এই যাত্রায় সামিল হবেন বিজেপি নেতারাও। সেক্ষেত্রে দেশভক্তির কথা মনে করিয়ে এই যাত্রার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। পাশাপাশি, নমাজ পাঠের পর বন্দেমাতরম ধ্বনির কথা বলে নতুন বিতর্কও উসকে দিয়েছেন। মন্দিরের ক্ষেত্রেও একই নিয়মের কথা তিনি বলেছেন ঠিকই, কিন্তু নেটদুনিয়ায় বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে মসজিদ প্রসঙ্গ ধরেই। যা আরও বড় বিতর্কের আকার নিতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।