শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার অধিকার নিয়ে দেশে শোরগোল পড়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু এবার কেবল ছাত্রীরাই নয়, মুসলিম ছাত্রদের পোশাকবিধি নিয়েও সরব হল একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রদের জন্য দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক, এমনটাই নির্দেশ তাদের। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দাড়ি কাটতে পারবে না ছাত্ররা। কেননা, ধর্মের বিধান অনুযায়ী তা অন্যায়। সম্প্রতি এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে দাড়ি কেটে ফেললে তাকে ওই কলেজ থেকে বহিষ্কার করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে আর একবার উসকে উঠেছে বিতর্ক।
আরও শুনুন: ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক কি বৈধ? পরীক্ষায় প্রশ্ন পাকিস্তানে, বরখাস্ত অধ্যাপক
মুসলিম পড়ুয়াদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক অবশ্য এই প্রথম নয়। তবে এর আগে তার নিশানা ছিল মূলত ছাত্রীদের দিকেই। কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল দেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্ণাটক সরকার। স্কুল কলেজের চত্বরে সব ছাত্রীদের পোশাকে যাতে একরকম ভারসাম্য আনা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এহেন ফরমান জারি করা হয় বলে দাবি প্রশাসনের। কিন্তু এই ইস্যুতে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও হিজাব খুলে ফেলতে নারাজ বহু মুসলিম ছাত্রী। তালিবান সহ একাধিক মুসলিম সংগঠনও হিজাব পরার পক্ষেই জোর সওয়াল করেছে। আর সেই আবহেই এবার মুসলিম ছাত্রদের জন্যও নয়া বিধি জারি করল ইসলামিক প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দাড়ি কাটা ‘হারাম’, এই মর্মে তিন বছর আগেই ফতোয়া জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দাড়ি কেটে প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য চারজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। আর তারপরেই আরও একবার এই ইস্যুতে কড়া নির্দেশ জারি করল ওই প্রতিষ্ঠান। কলেজের তরফে মৌলানা হোসেন আহমেদ সাফ জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের কোনও ছাত্র এখন থেকে দাড়ি কাটতে পারবে না। এমনটা করলে এমনকি দাড়ি কেটে কোনও ছাত্র যদি প্রতিষ্ঠানে ভরতি হতে আসে তাহলে তাকে ভরতি নেওয়া হবে না।
আরও শুনুন: লতা মঙ্গেশকরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সৌজন্যের প্রশ্নে পাকিস্তানকে তুলোধোনা জাভেদ আখতারের
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফরঙ্গি মাহালি জানিয়েছেন, হজরত মহম্মদ নিজে দাড়ি রাখতেন। তাই ইসলাম ধর্মে দাড়ি রাখা পুণ্যের কাজ। তাই দাড়ি কেটে ফেলাকে পাপ হিসেবেই গণ্য করছেন তাঁরা। আর সেই ধারণা মোতাবেকই ছাত্রদের দাড়ি কাটার বিরুদ্ধে ফরমান জারি করেছে কলেজটি।