বিধায়কের দপ্তরের সামনে চুমু খাচ্ছেন যুগল। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। প্রশ্ন উঠছে, এত জায়গা থাকতে কেন বিধায়কের অফিসে এমন কাজ? কারণটা হয়তো বিধায়ক নিজেই! কেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই, বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই! সাম্প্রতিক ঘটনা জাতিস্মরের এই লাইনগুলোই মনে করায়। এখানেও প্রতিবাদের ভাষা চুম্বন। প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বুঝিয়ে দেওয়া, ভালোবাসায় কোনও ভুল নেই!
আরও শুনুন: সত্যিই মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে? জনগণনা ছাড়া তথ্য এল কীভাবে, প্রশ্ন বিরোধীদের
সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বৈশালী নগরের সমস্ত ওয়ো বন্ধ করিয়েছেন সেখানকার বিধায়ক রিকেশ সিং। তাঁর অভিযোগ, এইসব হোটেলে রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিনিই গিয়ে বন্ধ করিয়েছেন সমস্ত হোটেল। কাজেই নিভৃতে প্রেম করার জায়গা হারিয়েছেন সেই এলাকার প্রেমিক-প্রেমিকারা। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর পার্কেও হানা দেন গেরুয়া বিধায়ক। সেখানে নিজেদের মতো সময় কাটাতে আসা যুগলদের চলে যেতে বলেন। তাতে প্রতিবাদ জানান সকলেই। ওয়ো বন্ধ, তাই প্রেম করার জন্য কোথায় যাব? সেই প্রশ্ন আসে বিধায়কের দিকে। কিন্তু লাভ হয় না কিছুই। বিধায়ক দায়িত্ব নিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন যুগলদের। এমন প্রভাবশালী মানুষের কাজে বাধা দেওয়ার ক্ষমতাও নেই কারও। তাই মেনে নিতে বাধ্য হন সকলেই। কিন্তু সবাই যদি মেনে নেয় তাহলে প্রতিবাদটা করবে কে?
আরও শুনুন: যত বউ তত টাকা! মহিলাদের ‘লক্ষ্মী’লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা
তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদের পথ খুঁজে নেন এই যুগল। নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই তাঁর দপ্তরে গিয়েই প্রতিবাদ দেখানোর কথা ভাবেন দুজনে। যেমন ভাবা তেমন কাজ, হাজির হন বিধায়ক রিকেশ সিং-এর দপ্তরে। এবং সবকিছু ভুলে একে অন্যকে চুমু খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কোনওভাবে ক্যামেরা বন্দী হয়। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, বিধায়কের নাম লেখা পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়েই চুমু খাচ্ছেন যুগল। স্বাভাবিক ভাবেই ভিডিওটি নেটুদনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যুগলের পরিচয় সামনে আসেনি। তাই ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা এমনটা করেছেন একথা বলা যাচ্ছে না। তবে এত জায়গা থাকতে কেন বিধায়কের অফিসটাকেই তাঁরা চুমু খাওয়ার জন্য বাছলেন, এ প্রশ্নের উত্তর সহজেই অনুমেয়। রিকেশ সিং যেভাবে যুগলদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন, তার প্রতিবাদেই ওই যুগল এমনটা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিধায়কের তরফে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। এমনিতে যুগলদের প্রকাশ্যে হেনস্থার নানা অভিযোগ শোনাই যায়। প্রেমদিবসে সনাতনী প্রচারের নামে পার্কে গিয়ে অভিযান চালিয়েছে ভক্তরা এই অভিযোগও নতুন নয়। সেই তালিকাতেই গেরুয়া নেতার ওয়ো বন্ধ করার পদক্ষেপটিকে রাখতে চাইছেন কেউ কেউ। অনেকের দাবি এমনটা কোনওভাবে সমর্থন যোগ্য নয়। তাই চুমুর প্রতিবাদের পক্ষেও সওয়াল করেছেন অনেকে। সবমিলিয়ে ভোটের আবহে এই ঘটনাকে সামনে রেখে সরগরম ছত্তিশগড়।