বিজেপি বিরোধী মন্তব্যের জেরেই আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি একইভাবে বিপাকে পড়েছেন প্রিয়াঙ্কাও। এবার ফের সেই পথেই হাঁটলেন আরও এক কংগ্রেস নেতা। বিজেপি সমর্থকদের রাক্ষসের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
বিজেপিকে ভোট দিলেই জুটবে নতুন পরিচয়। একেবারে ‘রাক্ষস’ হয়ে যাবেন আপনি। সম্প্রতি এমনই ‘অভিশাপ’ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। হরিয়ানার এক প্রচারমঞ্চ থেকে তাঁর সাফ দাবি, বিজেপি কর্মী বা সমর্থক মানেই রাক্ষসের সমান। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবেন তাঁদেরকেও সেই তালিকাতেই ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
আরও শুনুন: ২০২৪-এ দেশ পাবে মহিলা প্রধানমন্ত্রী, কর্ণাটকের জ্যোতিষীর দাবিতে শোরগোল বিরোধী শিবিরে
কেন্দ্রের মসনদ থেকে হঠাতে হবে বিজেপিকে, এই লক্ষ্যেই একজোট হয়েছে দেশের একাধিক বিজেপিবিরোধী দল। সেই তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছে কংগ্রেসের নাম। তবে এই জোট গঠনের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। শুরুটা হয়েছিল কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধীকে দিয়ে। মোদি পদবি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দীর্ঘ আইনি ঝামেলা ভোগ করতে হয় তাঁকে। খোয়া যায় সাংসদ পদ। যদিও সে মামলায় এখন সুপ্রিম স্থগিতাদেশ। রাজনীতির ময়দানে নতুন করে প্রত্যাবর্তন হয়েছেন সাংসদ রাহুল গান্ধীর। এই রেশ কাটতে না কাটতেই বিপাকে পড়েন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে গেরুয়া শিবির। এই আবহেই নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন হরিয়ানার সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। কংগ্রেস আয়োজিত ‘জন আক্রোশ র্যালি’-তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, তিনি বিজেপিকে একহাত নেন। চাকরি না দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি রীতিমতো কটাক্ষ করেন কেন্দ্র সরকারকে। এরপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সরাসরি রাক্ষসের তুলনা টানেন তিনি। একইসঙ্গে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেন, তাঁদেরও একই তকমা দেন এই কংগ্রেস নেতা।
আরও শুনুন: এক আধারে যোগ ৬৫৬ সিম কার্ড! আপনিও জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন না তো?
কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে রীতিমতো চটেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করতে করতে অন্ধ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাই সাধারণ ভোটারদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করার আগেও দুবার ভাবেননি ওই কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, দেশবাসীর সম্মান রক্ষার্থে একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্য একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো, এমনটাই দাবি বিজেপি মুখপাত্রের। কার্যত একই সুর নেটিজেনদের গলাতেও। আমজনতার উদ্দেশে এহেন মন্তব্য করলে তাদের অসম্মান করা হয়, এই মর্মে কংগ্রেস নেতাকে তুলোধোনা করেছেন নেটদুনিয়ার অনেকেই। তবে এহেন মন্তব্যের প্রভাব সাধারণ ভোটারদের উপরও পড়বে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।