রাজনীতিতে বিরোধী শিবির, তা বলে কি ভালো কাজের প্রশংসা করা যাবে না? যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বললেন কংগ্রেস শিবিরের মুসলিম সাংসদ। কী কারণে যোগীকে সাধুবাদ জানালেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দুই নেতা দুই শিবিরের। তাঁদের রাজনীতির মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোনও যোগাযোগ দূরে থাক, তীব্র বিরোধিতাই রয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় বিভাজনের কারণে সে বিরোধ আরও তীব্র। কারণ একজনের নাম যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা তো বটেই, একইসঙ্গে হিন্দুত্ববাদী শিবিরের সামনের সারির মুখ। অন্যদিকে যিনি আছেন, তিনি কংগ্রেসের নির্বাচিত সাংসদ। উপরন্তু ধর্মে মুসলিম। হিন্দুত্ববাদী শিবির থেকে সময়ে সময়ে মুসলিমদের প্রতি যে ঘৃণাভাষণ উসকে ওঠে, তাতে দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্য কল্পনা করা মুশকিল। কিন্তু ঘটেছে সেটাই। দেখা যাচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এহেন প্রশংসা জুড়লেন মুসলিম নেতা?
আরও শুনুন:
সেঙ্গলের বদলে সংসদে রাখা হোক সংবিধান, কেন উঠছে ‘রাজদণ্ড’ সরানোর দাবি?
আসলে এই সময়ে দাবদাহে পুড়ছে উত্তরপ্রদেশ। হিট স্ট্রোকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই তীব্র গরম সামাল দিতে ফ্যান তো বটেই, কুলার বা এসির দ্বারস্থ হচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষই। আর তার ফলেই লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের তাপপীড়িত অঞ্চলগুলি। কিন্তু সেখানেই নাকি ব্যতিক্রম যোগীরাজ্য। মাসুদের দাবি, এই প্রবল দাবদাহের মধ্যে সে রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। তাই ভালো কাজের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের তো ধন্যবাদ দিতেই হয়। বলাই বাহুল্য, সরকারি দপ্তরের প্রশংসা করা মানে সে প্রশংসা আসলে পৌঁছচ্ছে সরকারের কাছেই। অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারের ভালো কাজকেই নাম না করে সাধুবাদ দিয়েছেন ওই মুসলিম নেতা।
আরও শুনুন:
ভিনধর্মে বিয়ে মানেই ‘লাভ জিহাদ’ নয়! সোনাক্ষীর আগেও বুঝিয়েছেন বলি তারকারা
তবে তাতে কিন্তু কোনোরকম অস্বস্তি নেই ইমরান মাসুদের। বরং তিনি সাফ বলছেন, যদি কোনও সরকার ভালো কাজ করে তবে তার জন্য তাকে প্রশংসা করতে হবে বইকি। বিরোধী রাজনীতি বলে কি ভালো কাজকেও ভালো বলা চলবে না? এমন কোনও বাধ্যবাধকতা মানতে নারাজ ওই মুসলিম নেতা। যদিও মোদি গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিতর্কিত মন্তব্যে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন মাসুদই। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের ভালো কাজের দরুন সাধুবাদ জানাতেও পিছপা হলেন না সাহারানপুরের কংগ্রেস সাংসদ।