কন্ডোমের বিজ্ঞাপনে গরবা নাচছেন দুজন নারী পুরুষ। আর এই বিজ্ঞাপন ঘিরেই বিতর্কের ঝড়। এমনকি অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে জল গড়িয়েছিল আদালতেও। শেষমেশ কী রায় দিল আদালত? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কন্ডোমের বিজ্ঞাপনে গরবা নাচের ব্যবহার নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কারও কারও মতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিচ্ছে ওই বিজ্ঞাপনটি। কেউ আবার অশ্লীলতার অভিযোগও তুলেছিলেন। সব মিলিয়ে অভিযোগের জেরে জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। শেষমেশ এই মামলায় নিজের রায় জানাল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। সব অভিযোগ নাকচ করে বিচারপতি সত্যেন্দ্র কুমার সিং সাফ জানালেন, এই বিজ্ঞাপনে কোনও অশ্লীল উপাদান নেই। তা ছাড়া ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার মতো কোনও বিষয়ও এখানে নেই।
আরও শুনুন: নবরাত্রিতে গরবা নাচতে হলে লাগবে পরিচয়পত্র, ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে ফরমান মন্ত্রীর
কন্ডোমের বিজ্ঞাপনগুলি শ্লীল না অশ্লীল, সেখানে কি সত্যি লঙ্ঘিত হচ্ছে শালীনতার সীমা- এই ইস্যুতে বিতর্ক উসকে উঠেছে বারেবারেই। কিন্তু সেই অভিযোগের কেন্দ্রে ছিল বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত নরনারীর যৌন দৃশ্য। এবার অবশ্য তেমন কোনও ছবির কারণে প্রশ্ন ওঠেনি। বিজ্ঞাপনটিতে দেখা গিয়েছিল, এক দম্পতি গরবা নাচছেন। দেশের বিভিন্ন প্রদেশে নবরাত্রির সময় গরবা নাচের আসর বসে। নারী পুরুষের মিলিত নাচের এই আসরে হাতছানি দিয়ে যায় প্রেমের ইশারাও। আর সেই বিষয়টিকে তুলে ধরেই ওই মরশুমে কন্ডোমের এই বিশেষ বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে নবরাত্রির দুদিন আগে একটি ওষুধ সংস্থার তরফ থেকে এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল প্রি-লাভরাত্রি উইকেন্ড অফার। নবরাত্রি শব্দের সঙ্গে ‘লাভ’ অর্থাৎ প্রেমের অনুষঙ্গ জুড়ে কন্ডোম এবং গর্ভ পরীক্ষার কিটগুলিতে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করেছিল ওই সংস্থা। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের জেরেই সংস্থার কর্ণধার মহেন্দ্র ত্রিপাঠির বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। অভিযোগ ওঠে, এহেন বিজ্ঞাপনে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।
আরও শুনুন: কন্ডোম, লিপস্টিক বা চকোলেট, সবই নাকি আমিষ! জানেন কি?
কন্ডোমের সঙ্গে কোনও ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ জুড়ে দেওয়া নিয়ে এর আগেও ঘনিয়ে উঠেছে বিতর্ক। বিশেষত হিন্দুত্ববাদীদের দিক থেকে এই ইস্যুতে আক্রমণ শানানো হয়েছে বারবার। এই ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে শেষমেশ সেই অভিযোগ নাকচ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট।