আসলে মন্দিরের সূত্রে হওয়া বিপুল আয়ের দিকেই নজর। সেই কারণেই হিন্দু মন্দিরগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী বামপন্থী সরকার। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মন্দির নিয়ে নয়া বিতর্ক উসকে দিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। তাঁর মতে, বামপন্থীরা যখন যে রাজ্যেই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই সমস্ত হিন্দু মন্দির অধিগ্রহণ করেছে সরকার। অন্য কিছু নয়, মন্দির সূত্রে পাওয়া বিপুল আয়ের মালিকানা পেতেই করা হয়েছে এই কাজ। কেরলের তিরুবনন্তপুরমে শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়েই এহেন মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি নেটদুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর সেই বক্তব্যের ভিডিওটি।
আরও শুনুন: গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে বন্ধ মাংসের দোকান, নয়া নির্দেশিকা জারি প্রশাসনের
একাধিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ নিয়েই সম্প্রতি কেরলে যান সুপ্রিম কোর্টের ওই প্রাক্তন বিচারপতি। যে রাজ্যটি বামপন্থীদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বলেই চিহ্নিত। বর্তমানে রাজ্যের প্রশাসন রয়েছে পিনারাই বিজয়নের বামপন্থী সরকারের হাতে। কেরল সফরের সূত্রেই পদ্মনাভস্বামী মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন ইন্দু মালহোত্রা। আর সেখানে গিয়েই এমন মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি। তিনি এও বলেছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং তিনি মিলেই সরকারের দ্বারা এমন অধিগ্রহণের চেষ্টা রুখে দিয়েছিলেন এর আগে। এই মন্তব্যে আসলে ২০২০ সালের একটি পুরনো রায়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন মালহোত্রা। ১৯৯১ সালে রাজবংশের শেষ রাজার মৃত্যুর পরে শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ লাগু হওয়ার রায় দিয়েছিল কেরলের আদালত। কিন্তু ২০২০ সালে সেই রায় নাকচ করে সুপ্রিম কোর্ট। নয়া রায়টিতে এই মন্দিরের উপর ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবারের অধিকারই বহাল রেখেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের প্রসঙ্গ টেনেই এবার কেরলের বামপন্থী সরকারকে বিঁধলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। যদিও কেরল সরকারের তরফে তাঁর মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী টমাস আইজাক। বামপন্থীদের প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে বলেই তাদের অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মালহোত্রা, এমনই মত প্রকাশ করেছেন আইজাক।