শ্বশুরের টাকা লোপাট করে পালাল জামাই। তাও আবার ১০৭ কোটি!। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি নিজের জামাইয়ের সম্পর্কে এমনই অভিযোগ এনেছেন এক ব্যবসায়ী। কিন্তু এত টাকা সে পেল কীভাবে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ভরসা করে জামাইয়ের বিপদে সাহায্য করেছিলেন শ্বশুর। কিন্তু প্রতিদানে জুটল শুধুই প্রতারণা। প্রায় ১০৭ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিল জামাই। বহু চেষ্টা করেও যার সিকিভাগও উদ্ধার করতে না পেরে মাথায় হাত শ্বশুরের।
আরও শুনুন: বিছানায় বসে যুবকেরা মগ্ন উরফি জাভেদে, তরুণদের মোক্ষম খোঁচা চেতন ভগতের
বর্তমানে যুগে দাঁড়িয়ে প্রায়শই টাকা জালিয়াতির খবর আমাদের নজরে আসে। কিন্তু নিজেরই পরিবারের সদস্য টাকা নিয়ে পালিয়েছে এমনটা বোধহয় সিনেমার পর্দাতেই বেশি দেখা যায়। বিশেষত যেখানে এত কোটি টাকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে কেরলের এই ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানাতে বাধ্য। সম্প্রতি নিজের জামাই সম্পর্কে টাকা জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন আব্দুল লাহির হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালে তাঁর মেয়ের সঙ্গে মহম্মদ হাফিজ নামে এক কেরল নিবাসী যুবকের বিয়ে হয়। স্থানীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের সময় মেয়েকে লক্ষাধিক টাকা গয়নায় সাজিয়েছিলেন হাসান। বিয়ের অনুষ্ঠানেও প্রাচুর্যের কোনও খামতি রাখেননি তিনি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা অছিলায় শ্বশুরের থেকে টাকা চাইত হাফিজ। কখনও আইনি সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আবার কখনও নতুন জমি কেনার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চাইতে শুরু করে সে। এভাবেই বিগত ৫ বছরে প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করে ফেলে সে। এমনকি হাসানের কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তিও নিজের নামে করে ফেলে হাফিজ। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে হাফিজের আসল উদ্দেশ্য ধরে ফেলেন হাসান। আর তারপরই থানায় গিয়ে জামাইয়ের নামে টাকা জালিয়াতির অভিযোগ জানান তিনি।
আরও শুনুন: সঙ্গিনীর সঙ্গে সঙ্গমের উত্তেজনায় মৃত্যু বৃদ্ধের, দেহ লোপাটে সহায়তা খোদ মহিলার স্বামীর
তবে শুধু হাফিজ একা নয়, এমন জালিয়াতির পিছনে রয়েছে তার এক বন্ধুও। অভিযোগ জানানোর সময় সেই ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেন হাসান। তবে অভিযোগের পর বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও, হাফিজের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। সেকথা আক্ষেপের সুরে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন হাসান। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, জামাইকে ভালোবেসে প্রায় দেড় কোটি মূল্যের একটি গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন হাসান। সেই গাড়িটিরও কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতারক জামাইয়ের পাল্লায় পড়ে আক্ষরিক অর্থেই মাথায় হাত পড়েছে শ্বশুরের।