শোনা যায়, এককালে বাংলার ডাকাতরা গৃহস্থকে চিঠি লিখে ডাকাতি করতে আসত। তবে গৃহস্থের উদ্দেশে চোরর দল চিঠি লিখছে, এমনটা জানা যায় না। সেই কাণ্ডই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। বড় দাঁও মারতে এসে বিফল হওয়ায় বাড়ির মালিক সরকারি আমলাকে চিঠি লিখে গিয়েছে চোরেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সে রাজ্যে।
চোর বাবাজিদের আজব কাণ্ডে সরগরম মধ্যপ্রদেশ। বড় দাঁও মারতে এসে বিফল হওয়ায় বাড়ির মালিকের উদ্দেশে চিঠি লিখে গিয়েছে চোরেরা। তাদের প্রশ্ন, ‘জব পয়সে নেহি থে তো লক নহি করনা থা না কলেক্টকর!’ সোজা বাংলায় ‘যখন টাকাই নেই, তো বাড়ি তালাবন্ধ করে রাখেন কেন কলেক্টর?’
আসলে মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি আমলার বাংলোয় বড় চুরি করতে এসে বিফল মনোরথ হয় চোরের দল। ওই আমলা মধ্যপ্রদেশের দেবাস জেলায় কর্মরত। নাম ত্রিলোচন গৌড়। ত্রিলোচনের অভিযোগ, তাঁর বাংলোয় ঢুকে আলমারি ভেঙে ৩০ হাজার টাকা ও গয়না চুরি করেছে চোরেরা। বড় দাঁও মারতে এসে চোরেরা যে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছে, তা তাদের চিঠিতে স্পষ্ট, দাবি ত্রিলোচনের। চুরির অভিযোগের পাশাপাশি পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ঘর থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে কাঁপা কাঁপা অক্ষরে লেখা, ‘ঘরে যদি টাকাপয়সাই না থাকে, তবে তালাবন্ধ করে রাখার প্রয়োজনটা কী!’
আরও শুনুন: এ’মাসেই মহাকাশে যাচ্ছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কে এই রাজা চারী?
সম্প্রতি দেবাস জেলার খটেগাঁওয়ের মহকুমাশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন ত্রিলোচন গৌড়। অন্য দিকে রতলামের ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। দু’সপ্তাহের কিছু বেশি সময় হল কাজের কারণেই স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। ২০ সেপ্টেম্বর বাংলোবাড়ি ছাড়েন আমলা দম্পতি। রবিবার বাংলোয় ফিরেই বোঝেন বাড়িতে চুরি হয়েছে। সদর দরজা ভাঙা। ভেতরে সব কিছু লন্ডভণ্ড হয়ে আছে। আলমারির তালা ভেঙে টাকাপয়সা, গয়নাগাঁটি চুরি করা হয়েছে।
আরও শুনুন: মতপ্রকাশের অধিকার বাঁচিয়ে রাখে সংবাদমাধ্যম, স্বীকৃতি নোবেল কমিটির
তবে রসিক চোরবাবাজিরা ত্রিলোচনের জন্য একটি চিঠি রেখে গিয়েছে। যা নিয়ে এখন সরগরম গোটা মধ্যপ্রদেশ।