তালিবানি আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ক্লাস। তবে বেশ চমকপ্রদ ভাবে। সেখানে ছাত্র আর ছাত্রীদের মাঝে ঝুলছে মোটা পর্দা। তাতে কী বলছেন অধ্যাপকরা?
তালিবান এসেছে। স্বাধীনতা গিয়েছে। আফগানভূম এখন ফতোয়ায় জর্জরিত। তারই নমুনা দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার পর। সেখানে ছাত্র আর ছাত্রীদের মধ্যে ঝুলছে মোটা কাপড়ের পর্দা। পুরুষ আর নারী যাতে পৃথক থাকে, কেউ কারও মুখ দেখতে না পায়, তাই এই ব্যবস্থা।
আরও শুনুন: মেয়ের চোখ খুবলে নিয়েছে তালিবান, সব জেনেও মুখে কুলুপ বাবার
গোড়াতে আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর তালিবান নেতারা নিজেদের প্রগতিশীল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। যত দিন গড়িয়েছে, তত স্পষ্ট হয়েছে যে, বদলায়নি কিছুই। তালিবান আছে তালিবানেই। রাজনৈতিক ক্ষমতাদখলের সংঘর্ষ তো যা চলার তা চলছেই। পাশপাশি শুরু হয়েছে ফতোয়া জারি। তালিবানি ফতোয়ার জেরে আফগানিস্তানের স্বাভাবিক জনজীবন আবার সংকীর্ণ বেড়ায় বাঁধা পড়তে চলেছে। ফতোয়া জারি হয়েছিল যে, মেয়েদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হবে, যাত মুখ ও শরীরের কোনও অংশ দেখা যায়। এরপর ফতোয়া জারি হয়েছে যে, ছাত্রীদের শুধু মহিলা শিক্ষকই পড়াতে পারবেন, আর কেউ নন। এইরকম ফতোয়া জারির পরিবেশেই সেই দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে ছাত্ররা বসেছেন একদিকে। ছাত্রীরা অন্যদিকে। আর তাঁদের মাঝে ঝোলানো আছে মোটা কাপড়ের ভারী পর্দা। যেন দুটো আলাদা কামরায় বসে আছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: তালিবানদের জয়ে কেন উল্লাস! ভারতীয় মুসলিমদের কটাক্ষ করলেন Naseeruddin Shah
এখানেই শেষ নয়। জারি হয়েছে আরও নিয়ম। জানা যাচ্ছে, ফরমান হল, ছাত্রীদের ক্লাস শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে বেরিয়ে পড়তে হবে। তারপর তাঁরা অপেক্ষা করবেন একটি ওয়েটিং রুমে। যাতে পুরুষ বা নারীর মেলামেশা না হয়। সব ছাত্ররা বেরিয়ে যাওয়ার পর, তারপর তাঁরা বেরোতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা বলছেন, এভাবে ক্লাস করানো ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত আশার আলো একটাই। মেয়েদের যে তালিবানরা শেষ পর্যন্ত পড়াশোনায় অনুমতি দিয়েছে, এটুকুই আপাতত শান্তির।