ইন্ডিয়া শব্দটি আসলে ব্রিটিশ দাসত্বের প্রতীক। দেশের আসল নাম ‘ভারত’। এই যুক্তিতে সংবিধানে ‘ইন্ডিয়া’-র বদলে ‘ভারত’ শব্দটি রাখার আর্জি জানালেন এক বিজেপি বিধায়ক। এ প্রসঙ্গে আর কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আসনচ্যুত করাই লক্ষ। সেই উদ্দেশে ২৬টি বিরোধী দল একজোট হয়ে গড়েছে ‘ইন্ডিয়া’। স্বাভাবিক ভাবেই, বিরোধীদের এই পদক্ষেপ বিজেপির তরফে মোটেও ভালচোখে দেখা হয়নি। প্রথম থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ নাম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি শিবিরের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এর সঙ্গে বারবার একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর তুলনা টেনেছেন। এই আবহেই এবার ‘ইন্ডিয়া’- শব্দটিকেই সংবিধান থেকে সরানোর ডাক দিলেন এক বিজেপি নেতা।
আরও শুনুন: নামে ‘ইন্ডিয়া’ অথচ জাতীয় স্বার্থ বোঝে না! বিরোধী জোটকে একহাত নিলেন জয়শংকর
বাদল অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই ইন্ডিয়া ইস্যুতে সরগরম বিধানসভা। কখনও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা, আবার কখনও অন্য কোনও ইস্যুকে সামনে রেখে একাধিকবার সংসদে ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে বিতর্ক উসকে উঠছে। এই আবহে নতুন করে ঘি ঢাললেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ নরেশ বনশল। তাঁর দাবি, ‘ইন্ডিয়া’ নামটি ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া। এই শব্দটিকে দাসত্বের প্রতীক হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন তিনি। তাই অবিলম্বে ইন্ডিয়া শব্দটি ব্যবহার না করার দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর আরজি, সংবিধানেও বদল আনা হোক। সংবিধানের যেসব জায়গায় ইন্ডিয়া শব্দটির উল্লেখ রয়েছে, তা বদলে ভারত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। গতবছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার সময় মোদিও ঠিক এই প্রসঙ্গেই কথা বলেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই, বিজেপি নেতার দাবি ইংরেজ শাসনের সমস্ত প্রতীক দেশ থেকে মুছে ফেলা হোক। প্রধানমন্ত্রী বিগত ৯ বছরে এই উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন বলেও দাবি করেছেন নরেশ। তাঁর পথ অনুসরণ করেই সংসদে এমন আরজি রেখেছেন তিনি। তবে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে এমনিতেই যখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সংসদ, সেখানে এই মন্তব্যে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতারা যেমন প্রথম থেকেই ইন্ডিয়া শব্দটির বিরোধিতা করে আসছেন, নরেশও সেই সুরেই সুর মিলিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।