যে কোনও সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে বাংলাদেশিরা! তবে ঘরের দখল নিতে হয়, অনলাইন অর্ডার করা জিনিস পৌঁছে দিতে। বাংলাদেশ অশান্তির আবহে এমনই দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। ঠিক কী করতে হবে এমনটা হলে, দিয়েছেন সেই নিদানও! আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অনলাইনে খাবার ডেলিভারি একেবারেই সাধারন ব্যাপার! শুধু খাবার কেন, আজকাল নিত্য প্রয়োজনের অধিকাংশ জিনিসই অনলাইনে আনিয়ে নেন অনেকে। কিন্তু সেই জিনিস কে দিতে আসছেন, তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না কেউ। এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর দাবি, অনলাইনে খাবার বা জিনিস ডেলিভারি করতে আসা অদিকাংশই বাংলাদেশি!
এমনিতে এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা নয়। প্রতিবেশী দেশের কেউ এদেশে এসে কাজ করতেই পারেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তাতে এমন কিছু সহজ মনে হবে না অনেকেরই। চলতি বছরেই ওপার বাংলায় হাসিনা সরকারের পতন। সেই থেকে শুরু অশান্তির, ইউনুস আমলে সেই আঁচ আরও তপ্ত হয়েছে। জুড়েছে হিন্দু নিপীড়নের মতো অভিযোগ। এই ইস্যুতে বিগত কয়েক মাস, প্রায় রোজই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশেও চর্চা চলছেই। একের পর এক সন্ন্যাসী গ্রেফতার, ক্রমশ ঘি ঢালেছে সেই অশান্তির আগুনে। এই আবহে ঢাকার মিছিলে দাবি উঠেছে কলকাতা দখলের। তাতে পালটা দিয়েছেন ভারতীয়রাও। সেই দলেই নাম জুড়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। কটাক্ষ নয়, তাঁর কথায় স্পষ্ট অভিযোগের সুর।
গিরিরাজের দাবি, ভারতে যারা অনলাইন ডেলিভারি কর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। রোহিঙ্গারাও এই দলে রয়েছে বলেই দাবি গিরিরাজের। তাঁর নিদান, এমন কাউকে দেখতে পেলেই শনাক্ত করতে হবে এবং অবিলম্বে জানাতে হবে পুলিশকে। তাঁরাই যা ব্যবস্থা করার করবেন। শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্যে যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের প্রসঙ্গ টানেন গিরিরাজ। বাংলাদেশ অশান্তির সঙ্গে সম্ভলের মসজিদ কাণ্ডের তুলনা টানেন যোগী। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, দুই ঘটনার নেপথ্যে থাকা বিশেষ সম্প্রদায়ের দিকে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই গিরিরাজের আশঙ্কা, এঁরা বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও সময়। তাই প্রশাসনের সাহায্যে পদক্ষেপ করা আশু প্রয়োজন। অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচার বন্ধ হোক, এমনটা ভারতের তরফে বারবার বলা হয়েছে। এ দেশের প্রশাসনের তরফেও এই ইস্যুতে কড়া বার্তা শুনেছে ইউনুস সরকার। তাতেও তেমন কিছু হেরফের হয়নি পরিস্থিতির। উলটে কলকাতা দখলের মতো হুমকি ভেসে আসছে ওপার বাংলা থেকেই! তাই এ দেশের রাজনৈতিক নেতারাও ছেড়ে কথা বলছেন না, যোগী-গিরিরাজের মন্তব্যেই তা স্পষ্ট হল।