থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় ভিডিও কলে চিকিৎসকের নির্দেশ শুনে শুনে আনাড়ি হাতেই সন্তানসম্ভবার প্রসব করিয়েছিল একদল পড়ুয়া। সেখানে শিশু এবং মা, উভয়েই ছিল অক্ষত। কিন্তু বাস্তব আর সিনেমার মধ্যে বিস্তর ফারাক। তাই একইভাবে প্রসবের দরুন তামিলনাড়ুতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ। শুনে নেওয়া যাক।
প্রসবের সময় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না কোনও চিকিৎসক। নার্সদের হাতেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসবের ভার পড়েছিল। ভিডিও কলে চিকিৎসকের নির্দেশ শুনে শুনে প্রসব করান তাঁরা। কিন্তু প্রসবের পর দেখা যায়, একটি মৃত শিশু প্রসব করেছেন ওই মহিলা। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে, এভাবে প্রসব করানোর দরুনই ঘটেছে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার।
আরও শুনুন: ঘটকালি করল শহরের যানজট, ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়েই মনের মানুষকে খুঁজে পেলেন ব্যক্তি
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর চেঙ্গালপেত জেলার এক গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। জানা গিয়েছে, পুষ্পা নামের ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার বয়স বছর ৩২। দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। সন্ধে ছটা নাগাদ মহিলার প্রসববেদনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাঁর প্রসবের সময় হাসপাতালে ওই সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলেই অভিযোগ উঠেছে। ডঃ আর বালু নামে ওই চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতেই তাঁকে প্রসব করাতে বাধ্য হন নার্সরা। এদিকে তার আগেই স্ক্যান করে দেখা গিয়েছিল, শিশুটি ব্রিচ প্রেজেন্টেশনে রয়েছে, অর্থাৎ প্রসবের সময় তার মাথা নয়, পা আগে বেরোনোর কথা। এই জটিল পরিস্থিতিতে আর দেরি না করে চিকিৎসকের নির্দেশ শুনে শুনেই মহিলাকে প্রসব করানোর উদ্যোগ নেন কর্তব্যরত নার্সরা। জানা গিয়েছে, প্রসবের সমস্ত সময় জুড়েই ভিডিও কলে উপস্থিত ছিলেন ওই চিকিৎসক। ধাপে ধাপে সব প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এহেন প্রসবের বিষয়টি যথেষ্ট জটিল বলেই ভয় পেয়ে যান নার্সরা। এদিকে প্রসবের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল প্রসূতির। সব মিলিয়ে অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছিল বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে শিশুটির কোনও জন্মগত জটিলতা ছিল কি না, তা জানা যায়নি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুবিচার চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে প্রসূতির পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরও।