সনাতন ধর্ম মন্তব্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চান উদয়ানিধি, দাবি অযোধ্যার সাধু-মহন্তদের। অন্যথায় অযোধ্যা থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত পদযাত্রা করার হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। শুনে নেওয়া যাক।
সনাতন ধর্মকে সরাসরি ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গুর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন স্ট্যালিনপুত্র উদয়ানিধি। এই ইস্যুতে যতই শোরগোল পড়ুক না কেন, নিজের মন্তব্য থেকে এখনও সরতে নারাজ তিনি। এবার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন অযোধ্যার সাধু-সন্ন্যাসীরা। তাঁদের দাবি, সনাতন ধর্ম নিয়ে এহেন মন্তব্য করার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে ডিএমকে নেতাকে। না হলে বড় প্রতিবাদে নামবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: ছিল না কেন্দ্রের বিজ্ঞাপনেও, ইন্দিরা এনেছিলেন বলেই কি সংবিধানে বাদ ‘সেকুলার’ ‘সোশালিস্ট’?
দিনকয়েক আগেই সনাতন ধর্মের সঙ্গে রোগ ব্যাধির তুলনা টেনে বেনজির তোপ দেগেছিলেন ডিএমকে-র তরুণ নেতা। ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার কথাও বলেছিলেন তিনি। উদয়ানিধি সাফ বলেছিলেন, ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির মতো রোগের বিরোধিতা করা যায় না, তাকে নির্মূল করতে হয়। সনাতন ধর্মের ক্ষেত্রেও ব্যাপারতা তেমনই। প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির। ওই মন্তব্যে আসলে সনাতন ধর্ম তথা হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে, এই মর্মে শুরু হয়েছে জোর প্রচার। এর আগেই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এবার প্রতিবাদের সুর চড়ালেন এই সাধু-মহন্তরাও।
আরও শুনুন: ‘সরকার যাবে-আসবে, দেশ যেন থেকে যায়’… অটল-স্মৃতি ফেরালেন মোদি
এই বিক্ষুব্ধ সাধুদের পুরোভাগে রয়েছেন হনুমানগড়ী মন্দিরের মহান্ত মুরলী দাস। তাঁদের বক্তব্য, দেশের কোনও কোনও রাজনৈতিক দল হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। আর বাকিরা সংবিধানের নামে শপথ নিয়েও সনাতন ধর্মের এই অসম্মানের সামনে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন। তাঁরা আরও বলেন, উদয়ানিধির এই মন্তব্য আসলে দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে দেওয়ার চক্রান্ত। সাধারণ মানুষকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ শানিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে খোদ শীর্ষ আদালতেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মহান্ত মুরলী দাস। সব মিলিয়ে, সনাতন ধর্ম বিতর্কে আরও ঘোরালো হল হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভ।