তাজমহল কোনও প্রেমের সৌধ নয়। এমনই দাবি জানিয়ে, তা ভেঙে ফেলার নিদান দিলেন এক বিজেপি বিধায়ক। একইভাবে কুতুবমিনার ভেঙেও মন্দির বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আরজি জানিয়েছেন ওই বিধায়ক। নেপথ্যে আর কী যুক্তি সাজিয়েছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
তাজমহল ও কুতুবমিনার ভেঙে ফেলা হোক। বদলে তৈরি করা হোক দুটি সুদৃশ্য মন্দির। সম্প্রতি এমনই দাবি জানিয়েছেন এক বিজেপি বিধায়ক। একেবারে প্রধানমন্ত্রীর কাছেই এমন আবদার রেখেছেন তিনি। এই দাবির নেপথ্যে সাজিয়েছেন বেশ কিছু যুক্তিও। তাঁর বক্তব্যের সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে নেটদুনিয়ায়।
আরও শুনুন: গান্ধীহত্যা থেকে RSS-এর নিষিদ্ধ হওয়া বাদ! ইতিহাস মোছার অভিযোগে ফের বিদ্ধ NCERT
আগেও তাজমহল ঘিরে বিভিন্ন বিতর্ক প্রকাশ্যে এসেছে। এর নাম বদল নিয়েও একাধিকবার সোচ্চার হয়েছে বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন। এমনকি অনেকে এই স্থাপত্যকে ‘প্রেমের সৌধ’ হিসেবে মানতেও আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়েই এবার তাজমহল ভেঙে ফেলার নিদান দিলেন অসমের বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি। তবে শুধু তাজমহল নয়, দিল্লিস্থিত কুতুবমিনার ভাঙার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনই অনুরোধ রেখেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তাজমহল আসলে কোনও প্রেমের সৌধ নয়। নেপথ্যে যুক্তি হিসেবে ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। যার স্মৃতিতে তাজমহল বানানো, সেই মুমতাজ ছিলেন মোঘল সম্রাট শাহজাহানের চতুর্থ স্ত্রী। অথচ ইতিহাস বলছে মুমতাজ মারা যাওয়ার পরেও আরও তিনটি বিয়ে করেছিলেন শাহজাহান। তাই বিজেপি বিধায়ক তাজমহলকে কোনও ভাবেই মুমতাজের প্রতি শাহজাহানের প্রেমের প্রতীক হিসেবে মানতে চান না। একইসঙ্গে কুতুবমিনারের নির্মান নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই তাঁর সাফ দাবি, দুটি স্থাপত্যই অবিলম্বে ভেঙে ফেলা হোক। বদলে তৈরি হোক দুটি সুদৃশ্য মন্দির। আর সেই মন্দিরগুলির কারুকাজ যেন সেরার সেরা হয়। সারা বিশ্বের কাছে যেন মন্দিরদুটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এমনই অনুরোধ রেখেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘আমাদের দেশে তো রান্নার গ্যাস নেই!’, গ্যাসের দাম কমানোর আরজি শুনেই সাফাই নির্মলার
কিছুদিন আগেই পাঠক্রম থেকে মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস বাদ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তার মাঝে দুই বিশ্ববিখ্যাত মুঘল স্থপতি ভেঙে ফেলার আর্জি একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই বিধায়কের এই বক্তব্যের বিরধিতা করেছেন। আবার অনেকের কাছে তাঁর এই দাবি যথেষ্ট গ্রহনযগ্য বলেও মনে হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক স্তরে কোনও বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি।