চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা! তা বলা হয় বটে। তবে চুরি করে ধরা পড়েও এক ব্যক্তি যা করলেন, তাতে চোখ কপালে উঠবে। আস্ত ওয়ালমার্টে স্টোরকে নিজের বলে দাবি করলেন তিনি। তারপর? আসুন, কী হল শুনে নিই।
চুরি করে ধরা পড়ে অজুহাতের শেষ নেই। এরকম মজাদার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এমনকি খোদ মার্কিন মুলুকেও চোরেদের অজুহাতের জুড়ি মেলা ভার। যেমন একটা গাড়ি চুরি করে ধরা পড়েছিল এক ব্যক্তি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চোর বাবাজি জানিয়েছিল, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশেই নাকি সে গাড়িটি নিতে এসেছিল। নইলে আর দরকার কী! সে কথায় অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল চোরকে। তবে চুরি করে গোটা স্টোরকেই নিজের বলে দাবি করার ঘটনা খুব কমই শোনা যায়।
আরও শুনুন: সঙ্গিনীর সঙ্গে সঙ্গমের উত্তেজনায় মৃত্যু বৃদ্ধের, দেহ লোপাটে সহায়তা খোদ মহিলার স্বামীর
এই ঘটনা ফ্লোরিডার। ওয়ালমার্টের মতো প্রখ্যাত সংস্থার এক স্টোরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কর্মীদের নজর এড়িয়ে বেশ কিছু পোশাকআশাক হস্তগত করেন ওই ব্যক্তি। পরে জানা যায়, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় হাজার ষোলো টাকার জিনিসপত্র হাতাতে পেরেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! আরও বেশি কিছু হাতানোর আগেই ধরা পড়ে যান তিনি। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। খোঁজখবর করে জানা যায়, ব্যক্তিটির নাম স্টিভেন ফ্রান্সিস। বয়স প্রায় ৫১। পুলিশের তরফে প্রশ্ন আসে, কেন তিনি চুরি করছিলেন? আর তার উত্তরেই অবাক হওয়ার পালা পুলিশের। ব্যক্তির জবাব, চুরি আবার কী! স্টোরটার মালিকই তো তিনি। দুটো জামা-কাপড় স্টোর থেকে নেওয়ার জন্য তাই বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই তাঁর। নিজের সংস্থা থেকে নিজে দুটো জিনিস নিলে চুরি করা কেন হবে! এ কথাই পুলিশকে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: মাথার উপর ৫২ কোটি টাকার ঋণ, সসেজ বিক্রি করেই শোধের পণ ব্যবসায়ীর
তবে এই যুক্তিতে কাজ হয়নি। আপাতত শ্রীঘরেই ঠাঁই হয়েছে ফ্রান্সিসের। তবে কেন ফ্রান্সিস নিজেকে স্টোরের মালিক বলে দাবি করেছিলেন, তার খোঁজ চলছে। নেহাত অজুহাত নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্যও আছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।