সামনে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে তালিবান। মৃত্যু যেন নিঃশ্বাস ফেলছে সামনে। তবে সেই ভয়ের তোয়াক্কা না করেই দাঁড়িয়ে আছেন এক আফগান মহিলা। সম্প্রতি এরকমই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। যা দেখে অকুতোভয় ওই মহিলাকে কুর্নিশা জানাচ্ছেন সকলে।
বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস। একটু ঘুরিয়ে যেন এই কথাটাই সত্যি হয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, সাধারণের হাতে ক্ষমতার হস্তান্তর নাকি জেহাদিদের ক্ষমতাদখল, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। আর সে বিতর্কও চলবে। তবে রাতারাতি বন্দুক উঁচিয়েই যে আফগানভূমের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও শুনুন: শ্রীনগরে উধাও ড্রাই ফ্রুট, আফগানিস্তান তালিবানি কবজায় যেতেই রং হারাচ্ছে কাশ্মীরের বিয়ের মরসুম
ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালিবানদের দেখা গিয়েছে বন্দুক উঁচিয়ে চলতে। সংবাদ পাঠকের ঘাড়ের সামনে উঁচিয়ে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক রাইফেল। প্রতিবাদীদের দিকে ছুটে গিয়েছে বুলেট। এমনকী দেশ ছাড়া মানুষদের প্রতিও নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তালিবান। বন্দুকের নলই যে তাদের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অস্ত্র, এ কথা পদে পদে প্রমাণ করে চলেছে তালিবান। কিন্তু এর বিপরীতেও একটা ছবি থাকে। প্রিয় দেশের জন্য যেখানে জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করতেও পিছপা হয় না দেশবাসী। সম্প্রতি তারই নমুনা দেখা এক প্রতিরোধ আন্দোলনের সময়।
আরও শুনুন: সিলেবাসে ফিরুক মহাশ্বেতা দেবীর ‘দ্রৌপদী’, চাইছেন শাবানা-অরুন্ধতী
নেটদুনিয়ায় যে ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান বিরোধী এক প্রতিবাদী জমায়েতের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে আছে এল তালিবানি যোদ্ধা। বন্দুকের নল সরাসরি এক মহিলার দিকে তাক করা। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই সেই মহিলার। যেন বন্দুক বলে কোথাও কিছু নেই। তিনি অকুতোভয়। নির্ভীক হয়ে তাঁর প্রতিবাদ জারি রেখেছেন।
এই ছবি বিশ্ববাসীর কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, তালিবানি জমানায় আফগান ভূমে সবথেকে বিপদে পড়েছেন মহিলারাই। তাদের উপর নেমে এসেছে হাজারও ফতোয়া। চলছে অত্যাচারও। এর আগে জানা গিয়েছিল, তালিবানি যোদ্ধাদের যৌনদাসীর চাহিদা পূরণ করতে কফিনে করে পাচার করা হচ্ছে মহিলাদের। অফিস, কাছারিতে কাজে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসেও যাতে তাঁদের মুখ কেউ না দেখতে পায়, সেই কারণে তাঁদের আশেপাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারী পর্দা। আর অত্যাচার!
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।