২০২৪-এ দেশ পাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী। এই লক্ষ্যেই জোট বেঁধেছে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দলগুলি। তবে স্রেফ নতুন নয়, এবার দেশ পেতে চলেছে মহিলা প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি এ দাবিতেও উত্তাল রাজনৈতিক মহল। প্রথমে দক্ষিণের এক জ্যোতিষী এমনটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এবার সেই কথায় সায় দিলেন এক ধর্মগুরুও। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোন নেত্রীর প্রতি তাঁর ইঙ্গিত? আসুন শুনে নিই।
লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে মরিয়া বিরোধীরা। উলটোদিকে কোমর বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবিরও। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ পাচ্ছে দেশবাসী। প্রায় রোজই খবরের শিরোনাম দখল করছে মোদি বনাম ‘ইন্ডিয়া’। সম্প্রতি আরও এক দাবিতে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪-এ মোদিকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন এক মহিলা।
আরও শুনুন: ২০২৪-এ দেশ পাবে মহিলা প্রধানমন্ত্রী, কর্ণাটকের জ্যোতিষীর দাবিতে শোরগোল বিরোধী শিবিরে
প্রথমে কর্নাটকের এক জ্যোতিষী এই দাবি তুলেছিলেন। এবার সে কথায় সায় দিলেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণাম। তিনি একাধারে ধর্মগুরু, আবার একজন কংগ্রেস নেতাও। আর সেই সূত্রেই তিনি জনপ্রিয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করছেন। তাঁর দাবি, ২০২৪ নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার যোগ্য একমাত্র প্রিয়াঙ্কাই। এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে হারাতে হলে জনপ্রিয় কোনও মুখ চাই। এই মুহূর্তে বিরোধী দলে প্রিয়াঙ্কা ছাড়া আর কারও সেই যোগ্যতা নেই বলেই মনে করেছেন ধর্মগুরু। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই সামনে রাখার দাবি তুলেছেন তিনি। বিরোধী দলগুলির কাছে এই দাবি মানার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতার সাফ যুক্তি, মোদি বনাম প্রিয়াঙ্কার লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আরও সহজভাবে নিতে পারবে দেশবাসী।
আরও শুনুন: অপরাধী দেখলেই ‘ঠোক দো’, যোগীরাজ্যের এনকাউন্টার নীতিকে কী চোখে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট?
তবে অনেকেই মনে করছেন, তাঁর এই দাবির নেপথ্যেও বিশেষ এক রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে লড়বেন রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে বারাণসী থেকে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা। আর সেখানেই মুখোমুখি লড়াই হতে পারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদির। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইয়ের ঘোষণার পর এমনিতেই রাজনৈতিকে মহলে শোরগোল শুরু হয়েছিল। এবার সেই আগুনেই যেন ঘি ঢাললেন আচার্য প্রমোদ। তবে এসব কথায় কান দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বরাবরের মতো ‘২৪-এও মোদি ম্যাজিকেই ভরসা রাখতে চাইছে দল। উলটোদিকে যে কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীই থাকুন না কেন, মোদির জনপ্রিয়তাকে কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবেন না। এমনটাই বিশ্বাস বিজেপির। তবে, জ্যোতিষী বা ধর্মগুরুর কথা সত্যি হয় কি-না, তা জানতে দেশবাসীকে তো অপেক্ষা করতেই হবে। এই ক-দিনে রাজনীতির জল কোনদিকে গড়ায়, তার উপরই নির্ভর করছে সবকিছু।