প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে আইনি বিপাকে পড়েছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু তাতেও নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটছে না আম আদমি পার্টি। সেই কারণেই ‘ডিগ্রি দেখাও’ নাম দিয়ে নয়া ক্যাম্পেন চালু করল কেজরির দল। কী লক্ষ্য এই ক্যাম্পেনের? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আমজনতার সামনে নিজেদের ডিগ্রি নিজেরাই দেখাবেন নেতানেত্রীরা। এহেন ঘোষণা করেই নয়া ক্যাম্পেন চালু করল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সাধারণ মানুষের সামনে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন আপ নেতারা। ইতিমধ্যেই নিজের সার্টিফিকেট প্রকাশ্যে এনে এই ক্যাম্পেনের সূচনা করেছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতীশী মার্লেনা। শুধু তাঁর দলের নেতানেত্রীরাই নন, গেরুয়া শিবিরের নেতারাও যেন এই উদ্যোগে শামিল হন, সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন আপ বিধায়ক।
আরও শুনুন: মোদির পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন সিসোদিয়ার! কেমন ছিল অতীত প্রধানমন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা?
আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, দিল্লি ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ওপেন লার্নিং থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন মোদি। এই বিষয়ে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিরোধীরা। সম্প্রতিই সে প্রশ্ন তুলেছেন জেলবন্দি আপ নেতা মনীশ শিশোদিয়া। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্য আনার দাবিতে সরাসরি তথ্য অধিকার সংক্রান্ত আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। পালটা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কেজরিওয়াল। তাতেও লাভ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া দূরে থাক, উলটে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আপ সুপ্রিমোকে। আর এরপরেই নয়া ক্যাম্পেন চালু করল কেজরির দল।
আরও শুনুন: গান্ধীহত্যা থেকে RSS-এর নিষিদ্ধ হওয়া বাদ! ইতিহাস মোছার অভিযোগে ফের বিদ্ধ NCERT
ক্যাম্পেনের শুরুতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন অতীশী। জানিয়েছেন, দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড থেকে দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। এই সার্টিফিকেটগুলির কোনোটিই ভুয়ো নয়, এই বলে পরোক্ষে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আপ নেত্রী। এমনিতে দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনও নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে, তা বেঁধে দেওয়া নেই। কিন্তু দেশবাসীর সে কথা জানার অধিকার রয়েছে বলেই মনে করেন অতীশী। আর সেই কারণেই নিজের দলের নেতাদের পাশাপাশি বিজেপি নেতাদেরও এই ক্যাম্পেনে শামিল হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আপ নেত্রী।