মাত্র সাত বছর বয়সেই পরিবারের ‘বোঝা’ হয়ে উঠেছিল। তাই বাড়তি জিনিসের মতো তাকেও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সে তো একজন রক্তমাংসের মানুষ। বলা ভালো ‘মেয়েমানুষ’। তাই এমনি এমনি তো বিক্রি করা যায় না। একেবারে নগদ সাড়ে চার লক্ষ টাকায় নিজের মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাও আবার ৩৮ বছরের এক যুবকের কাছে। কোথায় ঘটেছে এই কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
‘মেয়েরা কোনও পণ্য নয়’। প্রতিবাদী কবিতায় এমন স্লোগান দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু বাস্তবে তা কাজে দিচ্ছে কই! সাম্প্রতিক ঘটনা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে, এখনও সভ্যতার এতটুকু আঁচ লাগেনি অনেকের গায়েই। মানুষ কেনাবেচার সেই আদিম অভ্যাস ভুলতে পারেননি কেউ কেউ। কিন্তু তাই বলে কেউ নিজের মেয়েকেই বিক্রি করতে পারে?
আরও শুনুন: যৌনদাসীর জন্য কফিনবন্দি করে মেয়েদের পাচার করছে তালিবান
অবশ্যই পারে। রাজস্থানের ঘটনাই তার জলন্ত উদাহরণ। সম্প্রতি রাজস্থানের ময়না জেলা সাক্ষী থাকল এক অদ্ভুত ঘটনার। মাত্র সাত বছর বয়সের এক খুদেকে বিক্রি করে দিয়েছে তার নিজের বাবা। প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছেন তিনি। ঘটনায় রীতিমতো স্তব্ধ এলাকার পুলিশ প্রশাসন। সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই তাঁদের হাতে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, সাত বছর মেয়েকে জনৈক ভুপাল সিং-এর কাছে বিক্রি করেন তার বাবা। তড়িঘড়ি ভূপালের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তার বাড়ি থেকেই ওই খুদেকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে এই কেনাবেচার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সিং পরিবার। কিন্তু মেয়েটির হাতে মেহেন্দি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। চাপের মুখে সব সত্যি উগরে দেন ভূপাল নিজেই। অভিযোগ, মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল ভূপাল। যার নিজের বয়সই ৩৮ বছর। আর এই কাজে সম্পূর্ন মদত দিয়েছে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
আরও শুনুন: শিকার গণধর্ষণের, তবু নারী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অক্লান্ত Sunitha Krishnan
শিশু সুরক্ষা আইন মোতাবেক ইতিমধ্যেই ভূপাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আরও একাধিক অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে এই পরিবারের অনেকেরই। যার মধ্যে খুনের অভিযোগও রয়েছে। তাই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।