বাবা-মার সঙ্গে বিমানে চড়া। হয়তো জীবনে প্রথমবার। কিন্তু সেই আনন্দের সফরে যে মৃত্যুর পরোয়ানা লেখা ছিল, তা কে জানত! বিমানযাত্রার মধ্যেই আচমকা শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শিশুটির। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, রাখে হরি তো মারে কে! এই শিশুটির ক্ষেত্রে বোধহয় সে কথা বলাই চলে। বিমানযাত্রার মধ্যেই শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। সেই অবস্থায় বাঁচার কথাই ছিল না শিশুটির। কিন্তু ভাগ্য কিংবা মানুষ, কিংবা দুয়ের সহায়তাতেই সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এল সে। কী ঘটেছিল, তাহলে খুলেই বলা যাক।
মা বাবার সঙ্গে বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী ভিস্তারার বিমানে উঠেছিল শিশুটি। তার বয়স মোটে বছর দুই। কিন্তু আনন্দের এই সফরই আচমকা বদলে যায় দুঃখে। বিমানটি বেঙ্গালুরু থেকে ছাড়ার পরপরই আচমকাই শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির। প্রায় নীল হয়ে যায় সে। মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে তাকে নিয়ে কী করা যায়, ভেবেই পাচ্ছিলেন না মা-বাবা। ছোটাছুটি পড়ে যায় বিমানটির ক্রু-দের মধ্যেও। বিমানটিতে মেডিক্যাল এমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভাগ্য ভাল, ওই বিমানেই উপস্থিত ছিলেন ৫ চিকিৎসকের একটি দল, যাঁরা সকলেই দিল্লি এইমসে কাজ করেন। ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাসকুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি থেকে ফিরছিলেন ওই চিকিৎসকেরা। বিমানটিকে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করানোর পর এক শিশু চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন। তারপর প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে তার চিকিৎসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার কথা ভাগ করে নেওয়া হয়েছে দিল্লি এইমসের তরফেই। সেখানে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের কথায় ওই শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। এবং শরীরের তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। সেই সময়েই জরুরি অস্ত্রোপচার করেন ওই ৫ চিকিৎসক। আইভি ক্যানুলা বসানো হয় শিশুটির হৃদযন্ত্রে। এরপরই ধীরে ধীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় ওই শিশুর।
নভদীপ কাউর, দমনদীপ সিং, ঋষভ জৈন, ঐশিকা এবং অভিচালা তক্ষক- এই ৫ চিকিৎসকের এহেন কাজে মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাঁদের জন্যই শিশুটির প্রাণ বেঁচেছে, একবাক্যে স্বীকার করছেন সকলে। আর এইমস এই ঘটনার কথা পোস্ট করার পর থেকেই ওই চিকিৎসকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।