সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জেরে আতঙ্কে ভুগছেন ব্রিটেনের হিন্দুরা। এবার নিজেদের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাল সে দেশের ১৮০টি হিন্দু সংগঠন। তাঁদের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে ব্রিটেনে অবস্থিত বেশ কিছু হিন্দু মন্দির কর্তৃপক্ষও। কী নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা? আসুন, শুনে নিই।
দিনকয়েক আগের কথা। ব্রিটেনের কয়েকটি হিন্দু মন্দিরের উপর দুষ্কৃতীদের আক্রমণ ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। তার জেরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্রিটেনের বসবসকারী হিন্দুদের মধ্যে। তাই নিজেদের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল সে দেশের ১৮০টি হিন্দু সংগঠন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ব্রিটেনের বিভিন্ন হিন্দু মন্দির কর্তৃপক্ষও।
আরও শুনুন: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ, আমির-কিয়ারার বিজ্ঞাপনকে তোপ বিবেক অগ্নিহোত্রীর
লাইসেস্টার ও বার্মিংহাম ব্রিটেনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন জাতির মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে এখানে। বাদ নেই হিন্দুরাও। ব্রিটেনের এই দুই শহরে তাই রয়েছে অনেকগুলি হিন্দু মন্দিরও। কিন্তু কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের ওই অঞ্চলের হিন্দু মন্দিরগুলিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। রাতের অন্ধকারে মন্দিরগুলির প্রভূত ক্ষতি করে তারা চম্পট দেয় বলেই অভিযোগ উঠেছিল। আর তার জেরেই শোরগোল পড়েছিল গোটা বিশ্বের হিন্দুদের মধ্যে। ভারতের পক্ষ থেকেও এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ব্রিটেনের সরকারি দপ্তরে ঘটনার কথা জানানো হয়েছিল। এবার সেই প্রসঙ্গেই নতুন পদক্ষেপ করল ব্রিটেনের হিন্দুরা। ওই দেশের প্রায় ১৮০টি হিন্দু সংগঠন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে সই রয়েছে বেশ কিছু হিন্দু মন্দির কর্তৃপক্ষেরও। সেখানে যোগ দিয়েছে ইস্কন-সহ কিছু আন্তর্জাতিক হিন্দু সংগঠন। যাদের শাখা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই। এছাড়াও ভারতীয় জনতা পার্টির এক শাখা হিসেবে ‘ওভারসিস ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ নামের একটি হিন্দু সংগঠনও শামিল হয়েছে তাদের সঙ্গে।
আরও শুনুন: সৈনিকের পেশা বদলে হলেন পর্ন তারকা, কিন্তু স্তন প্রতিস্থাপনের জন্য কী করলেন অভিনেত্রী?
হামলার ঘটনার পর থেকেই ওই দেশের হিন্দু সংগঠনগুলির প্রাথমিক দাবি ছিল, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। এবার সেই দাবিকেই আর জোরালো করতে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠিতে ওই ঘটনার পুলিশি তদন্তের কথাও উল্লেখ করেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনায় যেসব হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুর সরকার। এছাড়াও বেশ কিছু হিন্দু সংগঠনের দাবি, এই ধরনের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক সরকারের তরফে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হিন্দু মন্দিরগুলিতে সুরক্ষা বৃদ্ধি করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। লাইসেস্টারে হওয়া ঘটনার পর অনেকেই ভারত-পাকিস্তানের কোনও এক ক্রিকেট ম্যাচের দরুন তৈরি হওয়া উত্তেজনাকে দায়ী করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, সেই উত্তেজনার রেশ ছড়িয়েছে ব্রিটেনের মাটিতেও। তবে সঠিক তদন্ত না হওয়ার দরুন আসল কারণ চিহ্নিত করতে পারেননি কেউ। এবার সেই সমস্ত সমস্যার জট খোলার আবেদন জানিয়েই পাঠানো হল এই চিঠি।