হিন্দু সংস্কারের উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের অর্থনীতি। দাবি খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। কিন্তু কেন এমন দাবি করলেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
কোনও দেশের মেরুদণ্ড তার অর্থনীতি। অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠিতেই বিচার হয় দেশের ভেতর আর বাইরের পরিস্থিতি ঠিক কতটা মজবুত। অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হলে দেশের অন্দরেও যেমন বিক্ষোভের আঁচ ঘনিয়ে ওঠে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দানা বাঁধে, তেমনই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়ে। ফলে সরকারের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই মাথাব্যথা থাকে। বিজেপি সরকারের শাসনকালে দেশের অর্থনীতি নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গড়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন নতুন করে উসকে উঠেছে। তৃতীয়বারের মোদি জমানায় দেশের অর্থনীতির হাল কী হবে, চিন্তা সকলের মনেই। এই পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারে হিন্দু সংস্কৃতিই। শুধু তাই নয়, হিন্দু সংস্কৃতির ১৬টি সংস্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, এই সংস্কারগুলিই দেশের অর্থনীতিকে ধরে রাখতে পারে। আর সেই স্থিতাবস্থা মন্দার বাজারেও ধাক্কা খাবে না বলেই দাবি তাঁর।
আরও শুনুন:
হিন্দুদের অপমান করেছেন রাহুল? বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেস নেতার পাশে শঙ্করাচার্য
মোদি সরকারের নোটবন্দির মতো পদক্ষেপ নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। তা ছাড়াও, দেশে বেকারত্বের হার, শ্রমের কম মূল্য, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, সব মিলিয়ে জনতার নাভিশ্বাস। ভোটের ফলপ্রকাশের দিনেও ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে তেমন কোনও বড় ঘোষণাও ছিল না। ফলে সরকার গড়ার পর নয়া বাজেটের দিকেও তাকিয়ে গোটা দেশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই মোদি সরকারের যাবতীয় অর্থনীতি-সংক্রান্ত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে হিন্দু সংস্কারের দোহাই দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।