কিছুদিন আগেও দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে যাই যাই করে করোনা কিন্তু গেল না। ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে আতঙ্ক। বাড়ছে সংক্রমণ, বেশ কয়েকটি রাজ্যে আবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এল সুখবর। খুব শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে আসতে চলেছে কোভিড-প্রতিরোধী ট্যাবলেট। কারা এই ট্যাবলেট আনছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কোভিড প্রতিরোধে এতদিন ভ্যাকসিনই ছিল ভরসা। ইতিমধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি যাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তাঁরা নিয়েছেন বুস্টার ডোজও। সম্প্রতি শিশুদের ক্ষেত্রেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনে। এরই মধ্যে আশার আলো জাগাচ্ছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। কোভিড প্রতিরোধে এবার ট্যাবলেট আনছে ‘ফাইজার’। সম্প্রতি এই সংস্থার তৈরি ‘প্যাক্সলোভিড’ নামক ট্যাবলেটটিতে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই বা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। ফলত খুব শীঘ্রই ভারতীয় বাজারে এই ট্যাবলেটের দেখা মিলবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, সব ঠকঠাক চললে চলতি সপ্তাহেই ট্যাবলেটটি বিক্রির জন্য বাজারে আনা হতে পারে।
আরও শুনুন: এই নম্বরগুলি থেকে ফোন এলে বিপজ্জনক, গ্রাহকদের সতর্ক করল SBI
ফাইজারের এই ট্যাবলেট বা ওরাল ড্রাগটির প্রশংসা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাও। হু জানিয়েছিল, যাঁদের ক্ষেত্রে কোভিডের সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নেয়নি অথচ হাসপাতালে ভরতি হওয়া জরুরি মনে হচ্ছে তাঁরা এই ওষুধটি খেতে পারেন। বৃদ্ধ বা অন্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে পারেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি খুবই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে বলেই মত প্রকাশ করেছিল হু। সংস্থার নিজস্ব সমীক্ষা অনুযায়ী এই ট্যাবলেট কোভিড প্রতিরোধে যথেষ্ট কার্যকরী। কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এরকম রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছিল এই ওষুধের ব্যবহারে। সাফল্য মিলেছিল প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। তারপরই এই ওষুধের হয়ে সওয়াল করে হু। এবার সামগ্রিক ভাবেই ট্যাবলেটটি সাধারণের জন্য বাজারে আসতে চলেছে। গত মার্চে মেডিসিনস পেটেন্ট পুল এই ওষুধ নিয়ে ৩৫টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সাবলাইসেন্সের চুক্তি সাক্ষর করে। যার মধ্যে ১৯ টিই ভারতীয় কোম্পানি।
আরও শুনুন: গাছের মতোই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে সারি সারি পাথর, কোথায় আছে এই আশ্চর্য ‘পাথরের জঙ্গল’?
জানা যাচ্ছে, দুটি আলাদা কম্বিনেশনের তিনটি ট্যাবলেট এক্ষেত্রে একসঙ্গে খেতে হবে। দিনে দুবার টানা ৫ দিন অর্থাৎ মোট ৩০টি ট্যাবলেট খেলে কোভডের প্রতিরোধ সম্ভব হবে অনেকটাই। ঠিক যখন চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা জাগতে শুরু করেছে, তখন এই ট্যাবলেট বাজারে এলে রোগ প্রতিরোধ অনেকটা সহজ হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে জায়গা করে নেবে ফাইজারের ‘প্যাক্সলোভিড’।