নো বিন্দি, নো বিজনেস- এহেন স্লোগানে উত্তাল নেটদুনিয়া। একটি সংস্থার শাড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল কেন টিপ পরেননি, তা নিয়েই কটাক্ষ নেটিজেনদের একাংশের। উঠল বয়কটের দাবিও। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
হাল্কা গেরুয়া রঙের সিল্কের শাড়ি। রুপোলি জরির পাড়ে রানি রঙের সরু বর্ডার। সেই রঙেরই সিল্কের ব্লাউজ। কান থেকে লম্বা ঝোলা দুল। টেনে বাঁধা বান আর ন্যুড মেকআপেই সম্পূর্ণ সাজ। যে কোনও ফ্যাশন শো কিংবা ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে হামেশাই দেখা যায় এমন সাজ। ফ্যাশন সমালোচকদের চোখে অনেকসময়ই বেশ প্রশংসিতও হয় এহেন সাজসজ্জা। কিন্তু এখানে তেমনটা তো হয়ই নি, উলটে উঠেছে নিন্দার ঝড়। কারণ? তরুণী মডেল কেন টিপ পরেননি, তা নিয়েই সরব নেটিজেনদের একাংশ। জানা গিয়েছে, নবরাত্রির মরশুমে দক্ষিণের একটি বিখ্যাত সংস্থা শাড়ির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানেই জমকালো সিল্কের শাড়িতে দেখা গিয়েছে ওই মডেলকে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ সেই বিজ্ঞাপন নিয়েই বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়। ‘নো বিন্দি, নো বিজনেস’, এই মর্মে সংস্থাটিকে বয়কটের ডাক অব্দি দিয়ে বসেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আরও শুনুন: কপালে তিলক, গায়ে গোমূত্র ছেটানোর নির্দেশ! অহিন্দু প্রবেশ রুখতে ‘গরবা’-য় জারি নয়া ফরমান
টিপ নিয়ে এহেন বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। হিন্দু সংস্কারে এমনিই টিপ পরার রীতি রয়েছে। যদিও এ যুগে তা অনেকখানিই সাজের অঙ্গ বলেই বিবেচিত হয়, কিন্তু কেউ কেউ এ নিয়ে বেশ রক্ষণশীলও বটে। এর আগে কর্ণাটকে মেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে এক বিজেপি সাংসদ রীতিমতো ধমক দিয়ে বসেছিলেন টিপ না পরা একজন মহিলাকে। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, মহিলার স্বামী বেঁচে আছেন কি না। ইতিবাচক উত্তর পেতেই তিনি ধমকের সুরে টিপ পরার নির্দেশ দেন। আসলে হিন্দু ধর্মের সংস্কার অনুযায়ী অনেকে মনে করেন, কুমারী কিংবা সধবা মহিলাদের টিপ পরতেই হয়। এই সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এ কি শ্রাদ্ধের সাজ?
আরও শুনুন: কিছুতেই ঝগড়া করতে চান না স্বামী! রেগেমেগে ডিভোর্সের নোটিশ স্ত্রীর
সাজসজ্জা বিষয়টি যদিও একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু কে কীভাবে সাজবেন, ভারতীয় সমাজে তা নিয়ে কম নীতিপুলিশি চলে না। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন এই সাম্প্রতিক ঘটনা।