ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দুই আসনে বড় জয় তৃণমূলের। ৩০ অক্টোবরের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা মমতার। মমতাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অনুব্রতর। মাদক কাণ্ডে গ্রেপ্তার শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার, দাবি ক্ষতিপূরণের
আরও শুনুন: 1 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- এবারও মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. প্রত্যাশিতই ছিল। প্রাপ্তি কিছু বেশিই হয়েছে। জয়ের রথ থেমেছে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে। এমন বিপুল পরিমান ভোটেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রেকর্ড। ২০১১ সালের নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা।
রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই কালীঘাটের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরিস্থিতি বুঝে তবে প্রতিক্রয়া দেন। বলেন, ”ভবানীপুরে ভাষাভাষি নির্বিশেষে সকলে আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভবানীপুর শুধু নয়, সারা ভারতের মানুষজন আসলে আমাদের জিতিয়েছেন। কোনও ওয়ার্ডেই আমরা হারিনি এবার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও কম, কোথাও বেশি ভোট পেয়েছি। কিন্তু কোথাও হারিনি।”
পরিসংখ্যান বলছে, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ৮৪ হাজার ৭০৯। যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের চেয়ে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোট বেশি। প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের এই পরিসংখ্যান তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ২০১১ ও ২০১৬ সালের চেয়েও ব্যবধান বেশি। ২০১১ সালে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে। ২০১৬এ এই ব্যবধান ছিল ২৬ হাজারের কাছাকাছি। ২০২১ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জয়ের ব্যবধান ছিল ২৮ হাজারের বেশি। সেই কেন্দ্র থেকেই এবার উপনির্বাচনে লড়েছেন মমতা। আর তিনি জিতলেন ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে, যা শোভনদেবের তুলনায় দ্বিগুণ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্যও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. প্রত্যাশামতোই ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন।
গত ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই করোনা প্রাণ কাড়ে দুই প্রার্থীর। মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায় ওই কেন্দ্রের ভোট। অবশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হয় ওই দুই আসনে। জঙ্গিপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন জাকির হোসেন। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সুজিত দাস। আরএসপির হয়ে লড়াই করেন জানে আলম মিঞা। রবিবার গণনার শুরু থেকেই জঙ্গিপুর আসনে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী জাকির হোসেন। ২৬ রাউন্ড গণনা শেষে ৯২, ৬১৩ ভোটে জয়ী হলেন জাকির হোসেন। এরপরই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন আমিরুল ইসলাম। প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপির মিলন ঘোষ, সিপিএমের মোদাসসর হোসেন ও কংগ্রেসের জইদুর রহমান। ২৬, ৬১১ ভোটে জয়ী হলেন আমিরুল ইসলাম। ২০১৬ সালের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে ব্যবধান। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। এই কেন্দ্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।