উৎসব শেষে বেড়েই চলেছে করোনা। সংক্রমণে শীর্ষে শহর কলকাতা। এবার বিদেশে রপ্তানি হবে ভ্যাকসিন। ৭ টিকা উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার কথা স্বীকার ইকবাল হোসেনের। গোয়ায় বিজেপি-বিরোধী জোটের আহ্বান মমতার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. উৎসবের শেষে রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৪। শুক্রবারের তুলনায় সংক্রমণ শতাধিক বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৮ জন। গ্রাফ অনুযায়ী, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। এখানে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৮ জন।
মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজর ৪৬৬। করোনার বলি মোট ১৯ হাজার ৪৫ জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৯০জন। শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৩১ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৭৩১, যা আগের দিনের তুলনায় দেড়শোরও বেশি। কলকাতার পরই দৈনিক সংক্রমণে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭ জন। এই দুই জেলা বাদ দিয়ে আর কোথাও দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক নয়। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৯টি, যার মধ্যে ২.২৬ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।
এদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে শনিবারও নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ, মাস্ক পরার মতো বিধি মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
2. রেকর্ড সময়ে ১০০ কোটি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন করেছে ভারত। সেজন্য গোটা বিশ্বের প্রশংসাও মিলেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখানেই থামতে চান না। তাঁর লক্ষ্য ‘সবার জন্য ভ্যাকসিন’। যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব যোগ্য ভ্যাকসিন প্রাপককে টিকা দিতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যপূরণ করার পর বিদেশে টিকা রপ্তানিরও টার্গেট রয়েছে মোদি সরকারের। সেই উদ্দেশে শনিবার দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই মুহূর্তে দেশে করোনার টিকা তৈরি করছে বা তৈরির চেষ্টায় আছে মোট ৭টি সংস্থা। এঁদের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা ভারত ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছে। সরকার এই টিকাগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ তৈরি করছে ডঃ রেড্ডিস ল্যাব। এদের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় আছে জাইদাস ক্যাডিলা, বায়োলজিক্যাল ই, জেনোভা বায়োফার্মা, প্যানেনকা বায়োটেক। সবকটি সংস্থাই এদিন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও।
সরকারি সূত্রের খবর, কত দ্রুত দেশের বাকি জনতাকে টিকা দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর শুধু ভারত নয়, করোনা থেকে মুক্তি পেতে হলে গোটা বিশ্বের প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন পেতে হবে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই উদ্দেশে প্রয়োজনে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে টিকা। এদিন সে নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।