উৎসবের মরশুমে হিংসায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সে দেশের প্রশাসনের উদ্দেশে লিখিত বিবৃতি কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষের। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের। খাস কলকাতায় জোড়া খুনের ঘটনা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 17 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- বিধিনিষেধের সুফল, দেশে কমল করোনা রোগীর সংখ্যা
আরও শুনুন: 16 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকা ‘অবাস্তব’, পিছিয়ে পড়ে দাবি কেন্দ্রের
বিস্তারিত খবর:
1. উৎসবের মরশুমে হিংসার আগুনে তপ্ত বাংলাদেশ। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। কোথাও পুজোমণ্ডপে হামলা, কোথাও মন্দিরে ভাঙচুর, কোথাও আবার হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ নিয়ে সরব নানা মহল। এবার এই ধারাবাহিক ঘটনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষ। লিখিত বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে কর্তৃপক্ষের আরজি, ”সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিন।”
দুর্গাপুজো চলাকালীনই বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালি-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে হামলা চলেছে। নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে খুন হয়েছেন অন্তত ৪ জন, এমনই দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার কিনারা করতে শেখ হাসিনা প্রশাসন তৎপরতা দেখিয়েছে। অপরাধে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ধৃত চার হাজারের বেশি। লাগাতার হিংসার প্রতিবাদে সে দেশে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। শাহবাগ চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। গর্জে উঠেছেন সেখানকার বিশিষ্টজনেরাও। পুলিশ প্রশাসনও সক্রিয়। চট্টগ্রাম, ফেনি, রংপুর– এই তিন জায়গার পুলিশ প্রধান-সহ মোট ৭ জন পুলিশ অফিসারকে অপসারণ করা হয়েছে বলে খবর।
ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত কলকাতার ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। লিখিত বিবৃতিতে সেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া এবং হিন্দুদের পাশাপাশি ক্রিশ্চান, বৌদ্ধদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। একই দাবি জানিয়েছে মায়াপুর ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘও।
2. বাংলাদেশে দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে ক্ষমতাসীন দলের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জানালেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, “গত কয়েক দিনের হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। দেশের শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাওয়া কিছু কায়েমী স্বার্থের মানুষ এই কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।’’ হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর শনিবারের পর থেকে নতুন করে কোনও হামলার ঘটনাও ঘটেনি সেদেশে। বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা করা চালিয়েছে? হামলার কারণই বা কী? জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘কী কারণে হামলা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ তার কোনও প্রমাণ এখনও সরকার পায়নি। প্রমাণ-সহ কারণ জানতে পারলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হবে। তবে কারণ যা-ই হোক না কেন দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন দুই বাংলার সেলিব্রিটিরা। ঘটনার নিন্দা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, দেবশংকর হালদার, ঋদ্ধি সেন, বনি সেনগুপ্তের মতো অভিনেতারা। পাশাপাশি ফেসবুকে গর্জে উঠেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান, মিথিলা প্রমুখ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।