বঙ্গ বিজেপির বাংলা ভাগের স্বপ্নে জল ঢাললেন জে পি নাড্ডা। বঙ্গভঙ্গ নিয়ে যেন মুখ না খোলেন নেতা-নেত্রীরা। কড়া নির্দেশ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির।হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ মমতার। সরব বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তারির দাবিতে। গরু পাচার মামলায় পদক্ষেপ সিবিআই-এর। দীর্ঘ জেরার পর গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- চা শ্রমিকদের বেতনবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
আরও শুনুন: 7 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বাংলা ভাগ হতে দেব না’, কেএলও-হুমকির জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করতে হবে, এই দাবিতে বহুদিন ধরেই সরব বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের একাংশ। তবে বঙ্গসফরে এসে সেই জল্পনায় জল ঢাললেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সাফ জানিয়ে দিলেন, বাংলা ভাগ নিয়ে যেন মুখ না-খোলেন নেতা-নেত্রীরা। নাড্ডার সফর চলাকালীনই এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। পাহাড়-সহ গোটা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করার দাবিতে সরব হন তিনি। একই সুর হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ডেরও। শুধু পৃথক উত্তরবঙ্গই নয়, রাঢ়বঙ্গের দাবিতে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও। দল না চাইলেও, তিনি পৃথক রাঢ়বঙ্গ চান বলেই জানান। এই দাবির মুখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, রক্ত দিয়ে হলেও তিনি বাংলা ভাগ রুখবেন। এদিকে বঙ্গসফরে এসে নাড্ডাও স্পষ্ট করে বাংলা ভাগের বিপক্ষেই নিজের মত প্রকাশ করলেন। নিউটাউনের হোটেলে বঙ্গ বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে একই কথা বলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ-ও। বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপির অন্দরেই যে ফাটল রয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল সর্বভারতীয় সভাপতির এই পদক্ষেপে। এদিকে, রাজ্যে সাংগঠনিক স্তরে বদল আনতে চাইছে বিজেপি। বুথ ও শক্তিকেন্দ্রকে একসঙ্গে আঞ্চলিক সংগঠনের অন্তর্গত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর সূত্রের।
2. হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে টুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, ‘এ ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। এই মন্তব্য শুধু দেশে অশান্তি ছড়াতে উসকানিই দেবে না, বিভেদও তৈরি করবে।’ বিজেপি নেতানেত্রীদের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের নিন্দার পাশাপাশি ২ মন্তব্যকারীর দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিও তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে সমস্ত জাতি-ধর্মের মানুষকে বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বিজেপি নেতানেত্রীর ইসলামবিরোধী এই মন্তব্যের জেরে হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের শান্ত থাকার আরজি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”আন্দোলন করতে হলে দিল্লি গিয়ে করুন। অবরোধ তুলে নিন, মানুষকে ঘরে ফিরতে দিন।” নাখোদা মসজিদের ইমাম-ও সকলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, পথ-অবরোধে তাঁর সমর্থন নেই। বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলায় বিভেদ জাগিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বিতর্কিত এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ নিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নবীন জিন্দল, সাংবাদিক সাবা নকভি-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও এই ইস্যুতে আলাদা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।