দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়। শুভেচ্ছাবার্তা মোদির। পরাজিত কেজরি-সিসোদিয়া, মানরক্ষা অতিশীর। দিল্লির পদ্মঝড়ে চাঙ্গা বঙ্গ বিজেপি। ‘এবার বদল বাংলায়’, দাবি আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু-সুকান্তর। বাংলায় বড় নাশকতার ছক। উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পথে কলকাতায় ধৃত ৩। হাসিনার মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিপত্তি। স্থানীয়দের মারে হাসপাতালে ১৫বিপ্লবী ছাত্র।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. দিল্লিতে পরাজিত আম আদমি পার্টি। হারলেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২৭ বছর বাদে রাজধানীতে গেরুয়া নিশান ওড়াল বিজেপি। ধরাশায়ী হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়ার মতো ভিভিআইপি মুখ। বিজেপির এই বিরাট সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, ‘এই জয় বিকাশ ও সুশাসনের জয়।’ ৭০ আসনের দিল্লিতে ৪৮টির বেশি আসনে জয় বিজেপি। অন্যদিকে, মাত্র ২২ আসন আপের। ফলাফল বলছে, দিল্লির জঙ্গপুরা আসনে ৬৭৫ ভোটে পরাজিত মণীশ সিসোদিয়া। অন্যদিকে নয়াদিল্লি আসনে ৩ হাজার ভোটে হারলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মার্লেনা জিতে গিয়েছেন। তবে সামগ্রিক ভাবে দিল্লির নির্বাচনে লজ্জার হার মেনে নিতেই হল আপকে। শনিবার ভোট গণনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় কোন দিকে যেতে চলেছে। বেলা বাড়তেই উৎসব শুরু হয়ে যায় দিল্লির বিজেপি দপ্তরের সামনে। জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিজেপির সকল কর্মী-সমর্থককে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে, ভোট বিপর্যয়ের পর কেজরিওয়ালের বার্তা, ‘আমরা জনতার রায় মেনে নিয়েছি। আশা করি বিজেপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’ মনে করা হচ্ছে, নয়াদিল্লি আসনে কেজরিওয়ালকে হারানো বিজেপির প্রবেশ বার্মাই দিল্লি আগামী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
2. অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে হারিয়ে দিল্লিতে এবার বিজেপিরাজ। আর এই ফলাফল দেখে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপি। শনিবার কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপ্র কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এই প্রসঙ্গেই আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু-সুকান্তর দাবি, ২০২৬-এ বাংলায়ও বদল হবে, তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শিবির। যদিও বিষয়টাকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘২০২৬, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল আড়াই শোর বেশি আসন নিয়ে জিতছে।এবং চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।’ তাঁর সাফ কথা, দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনও মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই, এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল নেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।