জুনের প্রথম সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ। দিনক্ষণ ঘোষণা পর্ষদের। প্রকাশিত হাই মাদ্রাসার ফলাফলও। উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ায় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ প্রশাসনিক কাজে ঢিলেমির তালিকা নিয়ে। তীব্র ভর্ৎসনা ভূমিসংস্কার দপ্তরকেও। বিচারব্যবস্থা ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাই কোর্টে। রাজ্যপালকে ফের খোঁচা অভিষেকের। বিঁধলেন মোদি-সহ গেরুয়া শিবিরকেও।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী মাসের ৩ তারিখ অর্থাৎ ৩ জুন প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল। কোন কোন ওয়েবসাইটে ফল দেখা যাবে, ইতিমধ্যেই তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পরীক্ষা শেষের ৪০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হাই মাদ্রাসার ফলাফল। ৭৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে মালদহের ছাত্রী সারিফা খাতুন। প্রথম দশের ৬ পড়ুয়াই মালদহের। তবে পাশের নিরিখে প্রথম স্থানে পূর্ব মেদিনীপুর। চলতি বছরে পাশের হার ৮৭.০২ শতাংশ। উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনার প্রকোপ কমায় চলতি বছরে অফলাইনেই হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৬ মার্চ শেষ হয়েছিল পরীক্ষা। এদিন বৈঠক করে ফলপ্রকাশের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ৩ জুন সকাল ৯টায় প্রকাশিত হবে ফল। বেলা ১০টা থেকে অনলাইনে দেখা যাবে রেজাল্ট। জানা গিয়েছে, www.wbbse.wb.gov.in, http://wbresults.nic.in ইত্যাদি মোট ১৪ টি ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট। এছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যাবে রেজাল্ট। তার জন্য WB10 লিখে স্পেস দিয়ে নিজের রোল নম্বর পাঠাতে হবে ৫৬৭৬৭৫০ নম্বরে। এছাড়া www.exametc.com-এ প্রি রেজিস্ট্রার করা যাবে নিজের রোল নম্বর। সেক্ষেত্রে ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই রেজাল্ট পাওয়া যাবে এসএমএস মারফত।
2. জেলায় প্রশাসনিক কাজকর্ম কেমন হচ্ছে, জনতা কেমন পরিষেবা পাচ্ছেন, এসব খতিয়ে দেখতে সোমবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজের যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের প্রশাসনিক সভা থেকে জেলাশাসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
কাজে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “অনেক কাজের স্টেটাস আন্ডার প্রসেস। এই ব্যাপারটা কী? দেখুন, কিছু আন্ডার প্রসেস বলে এড়িয়ে যাবেন না। আমি চাই, সব কাজ সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেলুন।” এদিন ফের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাজ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দপ্তরকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, “জমির পাট্টা নিয়ে বিএলআরও অফিসে গেলেও, কাজটা করার জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমার কাছে অভিযোগ আসছে।” যাঁরা জমি নিয়ে এমন অনৈতিক কাজ করছেন, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সেসব কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে বলরামপুরে বেআইনিভাবে জমির কাগজপত্র তৈরি করা দোকান মালিকদেরও এদিন গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গেই ওসির নির্দেশে দুটি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে। মালিকদের থানায় ডেকে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।