মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় উত্তাল সংসদ। মৃতের সংখ্যা গোপনের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। মহাকুম্ভে মৃত্যুতে জনস্বার্থ মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। রীতি ভেঙে সরস্বতী পুজো বিশ্বভারতীতে, বাধল বিতর্ক। এদিকে পুজোয় বাধার অভিযোগ বোলপুরে। মণিপুর হিংসায় পদক্ষেপ শীর্ষ আদালতের। প্রশ্ন সে-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায়। গ্র্যামি জয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। যোগী সরকারের দাবি মৃতের সংখ্যা ৩০। তবে বেসরকারি মতে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর বাস্তব সংখ্যাটা শতাধিক। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। অভিযোগ করা হয়, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ করছে না সরকার। মৃতের পরিবার যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার ৪ ঘণ্টা পরও সরকারের তরফে ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বিরোধী শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয় মৃতের প্রকৃত তথ্য গোপন করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তথ্য প্রকাশের দাবিতে বিরোধী শিবির রীতিমতো হই-হট্টগোল শুরু করেন তখন তাঁদের শান্ত হওয়ার আবেদন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তুমুল হই-হট্টগোলের জেরে কার্যত শিকেয় ওঠে অধিবেশন। এই ঘটনায় রীতিমতো রুষ্ট হন স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও এই ইস্যুতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। সরকার কুম্ভ নিয়ে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় শেষে সংসদের দুই কক্ষেই ওয়াক আউট করেন বিরোধীরা।
2. মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা শুনল না শীর্ষ আদালত। যদিও কুম্ভে যা ঘটেছে তা ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীর আবেদন ছিল, প্রয়াগরাজে সমস্ত রাজ্যের নিজস্ব সেন্টার স্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে, নিজ রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সঠিক বার্তা দেওয়া যায়। সেই সঙ্গে আবেদন ছিল, শীর্ষ আদালত যেন এই দুর্ঘটনার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে। যাঁদের গাফিলতিতে এই ঘটনা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক, এমনটাও দাবি জানিয়েছিলেন মামলাকারী। সোমবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি পিবি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে মহাকুম্ভের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই মামলায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।” এই ইস্যুতে মামলাকারীকে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শই দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।