শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। কো-উইন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন ১ জানুয়ারি থেকে। বন্ধ মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ মমতার। পালটা বিবৃতি জারি কেন্দ্রের।২২ জানুয়ারি ভোট রাজ্যের চার পুরনিগমের। মঙ্গলবারই গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে সারলেন প্রস্তুতি বৈঠক। পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা অতিরিক্ত বাস-ট্রেনের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- বড়দিনের আমেজে মাতল রাজ্যবাসী, সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. নতুন বছরে শুরু হচ্ছে ১৫ ঊর্ধ্বদের কোভিড টিকাকরণ। আর সেই টিকাকরণের জন্য কো-উইন অ্যাপে আগেভাগে রেজিস্টার করতে হবে তাদের নাম। সোমবার কো-উইন প্ল্যাটফর্ম প্রধান ড. আরএস শর্মা এ ব্যাপারে বিশদে জানিয়ে দিলেন।তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন। বহু পড়ুয়ার আধার কার্ড নেই। আবার অন্যান্য পরিচয়পত্রও নেই। সে কথা মাথায় রেখে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্টুডেন্ট আই কার্ড বা স্কুল সার্টিফিকেটে ব্যবহার করার ব্যবস্থা রেখেছে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া থাকছে আগের মতোই। ৩ জানুয়ারি থেকে ছোটদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে দেশে। কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের যে টিকাকরণ শুরু হচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিনই (COVAXIN) ব্যবহার করা যাবে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকার জোড়া ডোজ পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আরও একটি অতিরিক্ত ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। দ্বিতীয় ডোজের ৯ মাস অর্থাৎ অন্তত ৩৯ সপ্তাহ পর প্রিকশন ডোজ দিতে হবে। এছাড়া জোড়া টিকা নেওয়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই তাঁদের প্রিকশন ডোজ দিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ১৫-১৮ বছর বয়সি ৪৫ লক্ষ ছেলেমেয়েকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে। বুস্টার ডোজ নিয়েও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রাজ্য। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী ও টিকাকারণ সংক্রান্ত নোডাল অফিসার ডা. অসীম দাস মালাকার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানেই চূড়ান্ত হবে এই দুই কর্মসূচির রূপরেখা। ডা. অসীম দাস মালাকার সোমবার জানান, “এই দুই কর্মসূচি নেওয়ার জন্য রাজ্যের ভাঁড়ারে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। ১৫-১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন।” ওমিক্রন কাঁটা দূর করতে রাজ্য সরকার যে প্রস্তুত তা এই তৎপরতাতেই স্পষ্ট।
2. ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’র সবক’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ হওয়া নিয়ে দিনভর জারি ধন্ধ। প্রাথমিক ভাবে এই অভিযোগ ওঠে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। এহেন আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে টুইটারে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, এই পদক্ষেপের জেরে মাদার টেরিজার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী ওষুধ ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, সংগঠনের পক্ষ থেকেই অ্যাকাউন্ট বন্ধের আরজি জানানো হয়।
সপ্তাহ দুয়েক আগে গুজরাটের ভাদোদরায় বিতর্কে জড়ায় মাদার টেরিজার এই সংগঠন। জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে। দায়ের হয় এফআইআর-ও। তারপরই এই পদক্ষেপ। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, “ক্রিসমাসের দিন মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সবক’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আমি স্তম্ভিত। তাঁদের অন্তত ২২ হাজার কর্মী ও রোগী ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানছি, আইন সবার আগে। কিন্তু মানবিকতার সঙ্গে আপস করা উচিত নয়।”
পরে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, মাদারের সংস্থার পক্ষ থেকেই এই আবেদন জানানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত এক বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, কেন্দ্র মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। উলটে সংস্থা নিজেই এসবিআই-এর কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আবেদন করেছিল। পাশপাশি কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা এফসিআরএ-র আওতায় যে লাইসেন্স দেওয়া হয়, তা রিনিউ না করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ। পরে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি-ও। জানিয়ে দেয়, কেন্দ্র তাদের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। বরং, সংগঠনের পক্ষ থেকেই সব শাখাকে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।