25 জানুয়ারি 2025: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলাদেশ আবহে নাশকতার আশঙ্কা, ছাব্বিশে রেড রোডে কড়া নিরাপত্তা

হেডলাইন: 

• বাংলাদেশ অশান্তির আবহে নাশকতার আশঙ্কা। রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কড়া নিরাপত্তা। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় শহরজুড়ে চলছে নাকা চেকিং।
• আসফাকুল্লার পর স্ক্যানারে কিঞ্জল নন্দ। কাজ ফেলে শুটিং? জানতে চেয়ে চিঠি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। ‘নেপথ্যে বড় ষড়যন্ত্র’, দাবি অনিকেত মাহাতোর।
• কৃষ্ণগঞ্জে বাঙ্কার উদ্ধারে বড় সাফল্য বিএসএফের। মিলল ৬২ হাজারের বেশি নিষিদ্ধ কফ সিরাপের বোতল। পাচারকারীদের উপর বড় ধাক্কা, দাবি বিএসএফের।
• ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক। এক ছাতার তলায় হিজবুল-জেএমবি-এবিটি, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘জাঁহা ইন্ডিয়া’। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বাংলায় ঢুকে পড়েছে দুই সদস্য।
• বাঘযতীন, তপসিয়ার পর এন্টালিতে হেলে পড়ল বহুতল। এক্সাইডেও হদিশ মিলল ‘বিপজ্জনক’ বাড়ির। বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া নগরপালের।

বিস্তারিত খবর:

1. প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে রেড রোড। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কলকাতায় এমন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই নাকা চেকিং চলছে শহরজুড়ে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার রেড রোডে নিরাপত্তায় ২৩০০ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকছে। এছাড়াও থাকবেন ২ জন অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিক, ৪ জন জয়েন্ট সিপি, ২২ জন ডিসি এবং ৪৬ জন এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এছাড়া ১১টি ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি চালানো হবে। রাখা হচ্ছে বালির বস্তার বাঙ্কারও। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে শহরজুড়ে থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, এইচআরএফসি, আরএফএস এবং পিসিআর ভ্যান। সাধারণতন্ত্র দিবসেও শহরে বাইরের প্রচুর লোকজন ঢোকে। কলকাতার দ্রষ্টব্য স্থান যেমন আলিপুর চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বিড়লা তারামণ্ডল, জাদুঘরে দর্শকদের ভিড় থাকে। তাই রবিবার সেখানেও বাড়তি পুলিশ রাখা হবে।

2. রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ক্যানারে আর জি কর আন্দোলনের আরেক মুখ। আসফাকুল্লা নাইয়ার পর এবার নজরে কিঞ্জল নন্দ। জানা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘কর্তব্যে গাফিলতি’র অভিযোগ উঠেছে। পিজিটিরা তুলনামূলক কম ছুটি পান। সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব সামলে কীভাবে বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় শুটিং করার সুযোগ পেলেন, সে বিষয়টি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ক্যানারে। এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। একইসঙ্গে ওই চিঠি নবান্ন এবং স্বাস্থ্যসচিবকেও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘পিজিটি হিসাবে কিঞ্জলের আদৌ ৮০ শতাংশ উপস্থিতি আছে? কতদিন ছুটি নিয়েছেন?’ একইসঙ্গে, পিজিটি হিসাবে কিঞ্জল কত টাকা স্টাইপেন্ড তুলেছেন, সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেই দাবি করেছেন কিঞ্জল নন্দ। এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এই চিঠির নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেছেন।

শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।