বিধানসভায় বাংলা ভাগের দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়কদের হুমকির অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। উদ্বেগ রাজ্যপালের। ইউক্রেন ফেরত বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়াদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। উপনির্বাচনের জন্য বদলাতে পারে উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন। বিধানসভায় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর। বঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 15 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়’, হিজাব বিতর্কে রায় কর্ণাটক হাই কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলাভাগের চাঞ্চল্যকর দাবি এবার উঠল বিধানসভায়। দাবি তুললেন কালিম্পংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বুধবার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ সব দিক দিয়ে বঞ্চিত। যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণ, আইনশৃঙ্খলা সব দিক দিয়ে বেশি করে পিছিয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। নতুন রাজ্যের মর্যাদা পেলে আর এই করুণ অবস্থা থাকবে না।”
তাঁর বক্তব্য চলাকালীন শাসকদলের বিধায়করা প্রতিবাদ করেন। সরব হন মন্ত্রীরাও। পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিরোধী দল শুধু রাজ্যের নয় দেশেরও বিরোধিতা করছে। সংবিধানের অবমাননা করছে বিজেপি। আমরা বিজেপির বাংলাভাগের চক্রান্ত রুখে দেব।”
বিষ্ণুপ্রসাদ এদিন বলেন, উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দাবির কথা বলতেই থাকবেন। উল্লেখ্য, আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখেও এই দাবি করেছেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক। দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে একটি আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকা গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল অনুন্নত। কলকাতার কয়েক কিলোমিটার পরিধি বাদ দিলে গোটা রাজ্যেই উন্নয়ন হয়নি। তাই এমন দাবি উঠছে। ভবিষ্যতে হয়ত জঙ্গলমহলও আলাদা রাজ্যের দাবি করবে। তবে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যা চেয়েছিলেন আমরা রাজ্যের মানচিত্র সেভাবেই দেখতে চাই।” এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জিটিএ ভোট হচ্ছে না। ২০১৩ সাল থেকে অডিট হয়নি। অনুন্নয়নের কথা বলেছেন আমাদের বিধায়ক। তিনি খারাপ কিছু বলেননি।”
2. শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া হুমকিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিধানসভা। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একাধিক বিধায়ককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এদিন বিধানসভায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল বিধায়কেরা। তাতে সুর মেলান বিজেপির চার বিধায়ক-সৌমেন রায়, কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষ এবং বিশ্বজিৎ দাস। শুভেন্দুকে থামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। এর মাঝেই অগ্নিমিত্রা পাল এগিয়ে এসে ওই চার বিধায়কের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে মুখ্যমন্ত্রী যখন বলতে ওঠেন, তখন বিজেপি বিধায়করা ওয়াক-আউট করেন। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কৃষ্ণ কল্যাণীর বচসা বেঁধে যায়। তিনি কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে আয়কর হানা দেবে এই মর্মে হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু। বিষয়টি তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষের নজরেও আনেন। পুরো ঘটনা জানতে পেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্য়ক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একই অভিযোগ আরেক বিধায়ক সৌমেন রায়ও। শুভেন্দু তাঁকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। স্পিকারের কাছে নিরাপত্তার আরজি জানান সকলেই। এর পরই স্পিকার ওই চার বিধায়কের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। আর অভিযুক্ত বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাও খতিয়ে দেখছেন স্পিকার। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দেওয়া হবে।
এদিকে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। এই নিয়ে ইঙ্গিতে সরকারকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।