পুলওয়ামা কাণ্ডে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মোদিই। বিস্ফোরক দাবি সত্যপাল মালিকের। অভিযোগ, কপ্টার দেয়নি কেন্দ্র, খতিয়ে দেখেনি নিরাপত্তাও। তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট। বিস্ফোরক শুভেন্দু। কুন্তলের চিঠি নিয়ে জলঘোলা হল আরও। বাংলা-সহ ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় হবে কেন্দ্রীয় পুলিশের পরীক্ষা। নববর্ষে আমজনতার জন্য খুলল রাজভবনের দরজা। শুরু হেরিটেজ ওয়াকেরও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলায় বেঁধে দিলেন ৩৫ আসনের টার্গেট, তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক শাহর
বিস্তারিত খবর:
1. চার বছর পর পুলওয়ামা হামলা নিয়ে বিস্ফোরক জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন, পুলওয়ামার ৪০ জওয়ানের মৃত্যুর নেপথ্যে আসলে দায়ী কেন্দ্র সরকারই। কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের দাবি, “পুলওয়ামার হামলার আগে জওয়ানদের আকাশপথে নিয়ে যাওয়ার আরজি জানিয়েছিল সিআরপিএফ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই অনুমতি দেয়নি। শুধু তাই নয়, যে রাস্তায় জওয়ানরা যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তার নিরাপত্তাও সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। সবটাই হয়েছে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য।” শুধু তাই নয়, সত্যপাল মালিকের দাবি, মোদিই তাঁকে এ নিয়ে মুখ না খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এতদিন পরে এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য রেখে কেন্দ্র সরকারকে খানিক চাপের মুখেই ফেলেছেন সত্যপাল। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে আসরে নেমেছেন বিরোধীরা।
২. নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের শতাধিক তৃণমূল বিধায়ক দুর্নীতির এজেন্ট হিসাবে কাজ করত। কালীঘাটে পৌঁছে দিত টাকা। এক অনুষ্ঠানে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে আসবে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। সিবিআই তল্লাশির সময় মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে। মোবাইলের খোঁজে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ছ’টি ব্যাগ। ৩০ ঘণ্টা পেরিয়েও চলল তল্লাশি। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ককেও। আরও তথ্যের খোঁজে চলছে পুকুর ছেঁচে জল সরানোর কাজ। সূত্রের খবর, পুকুর থেকে পাওয়া ওই ব্যাগে রয়েছে নিয়োগ এবং জমিজমা সংক্রান্ত একাধিক নথিপত্র। ব্যাগগুলি খুব বেশি পুরনো নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে নথিপত্র ভরা ব্যাগ পানাপুকুরে ফেলে রেখেছিলেন বিধায়ক, তা ভাবাচ্ছে সিবিআইকে। সেখান থেকেই তদন্তের নয়া সূত্র মিলবে কি না, জোরালো হয়ে উঠেছে সেই জল্পনাও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।