১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে করছাড়। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষায় বিনিয়োগ, বরাদ্দ বাড়ল প্রতিরক্ষায়। ‘এবারও বঞ্চিত বাংলা’, মোদি সরকারকে তোপ অভিষেকের। যোগেশচন্দ্র কলেজের সরস্বতী পুজো ঘিরে বিতর্ক। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আদালতে আরজি কর দুর্নীতি মামলার ১০০ শতাংশ নথি জমা দিল সিবিআই। ইনিংসে জিতে ঋদ্ধিকে বিদায়ী সংবর্ধনা বাংলার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তৃতীয় দফায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ। শনিবার মধ্যবিত্তর জন্য বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। নতুন করকাঠামো অনুযায়ী ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাধারণ রোজগারে কোনও আয়কর দিতে হবে না। তবে এই রোজগারের মধ্যে ক্যাপিটাল গেইন থাকলে সে ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে না। একইসঙ্গে ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে পুরোপুরি শুল্ক ছাড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলত ক্যান্সার-সহ একাধিক মারণরোগের ওষুধের দাম কমতে চলেছে। সস্তা হবে মেডিক্যাল এবং সার্জিক্যাল সরঞ্জামও। এছাড়া, আমজনতার দৈনন্দিন ব্যবহারের একাধিক জিনিসের দামও কমতে পারে। জানা যাচ্ছে, দাম কমবে এলইডি এবং এলসিডি টিভি। যন্ত্রাংশে শুল্ক কমায় সস্তা হবে মোবাইল। চর্মজাত দ্রব্যের উপরে শুল্ক প্রত্যাহার করায় জুতো, বেল্ট, ব্যাগের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও কমবে। এদিকে, কৃষকদের জন্য ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা করলেন অর্তমন্ত্রী। নির্মলা জানিয়েছেন, মোট ১০০টি জেলার ১ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য বিনিয়োগ করা হবে ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, গতবারের মতো ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটেও পর্যটন ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হোম স্টেগুলির শ্রীবৃদ্ধি মুদ্রা লোনের আওতায় আনা, ৫০ টি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন, চিকিৎসা পর্যটন বা মেডিক্যাল টুরিজমে জোর দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। বাজেটে আত্মনির্ভরতায় বিশেষ জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বেড়ে হল ৬ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, বাজেটের লক্ষ্য ছিল ভবিষ্য়তের রোড ম্যাপ তৈরি করা। সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে।
2. বিহারের জন্য ‘কল্পতরু’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অথচ কেন্দ্রের আরেক জোট শরিক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ‘ব্রাত্য’ কেন্দ্রীয় বাজেটে। এ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগল কংগ্রেস। আসলে, এবারের বাজেট বক্তৃতায় বারবার উঠে এসেছে বিহারের নাম। অর্থমন্ত্রী নির্মলা যেটুকু বড় ঘোষণা রাজ্য ধরে করেছেন, সেটার বেশিরভাগটাই বিহার কেন্দ্রিক। জানিয়েছেন, বিহারে তৈরি হবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি’। শীঘ্রই শুরু হবে পাটনা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ। শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য তৈরি হবে চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর। একইসঙ্গে পাটনা আইআইটির পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রেও বড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাতেই একযোগে সরব বিরোধীরা। এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, চলতি বছর নির্বাচন বলেই বিহারকে এই ‘উপহার’। আক্ষেপের সুরে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলা বঞ্চিত, আগেও ছিল, এবারের বাজেটেও ফের তা প্রমাণিত।” এদিকে, কেন্দ্রীয় বাজেটকে, ‘ধ্বংসাত্মক’, ‘জনবিরোধী ষড়যন্ত্র’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলার অর্থ উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। একেবারে তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি দেখান, সামাজিক প্রকল্প, খাদ্যে ভরতুকি কমানো কতটা জনস্বার্থ বিরোধী। তাঁর প্রশ্ন, বিমায় বিদেশি বিনিয়োগের ১০০ শতাংশ সুযোগ মিললেও কেন আমজনতার জন্য স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমানো হল না? আসলে, স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে অমিত মিত্রও বারবার বৈঠকে এই প্রস্তাব রেখেছেন। আশা ছিল, এবারের বাজেটে হয়ত কেন্দ্র সেই দিকটা দেখবে। কিন্তু শনিবারের বাজেটে নির্মলা সেদিক থেকে হতাশই করেছেন। তা নিয়েই ক্ষুব্ধ অমিত মিত্র।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।