ইদ পালন করা নিয়েই জোর বিতর্ক মুম্বইয়ের এক আবাসনে। বলির জন্য ছাগল নিয়ে এসেছিলেন এক মুসলিম বাসিন্দা। পালটা তারস্বরে হনুমান চালিশা পড়ে আবাসনটি শুদ্ধ করার পথে হাঁটলেন হিন্দু বাসিন্দারা। উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগানও। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ফের সাম্প্রদায়িক বিতর্ক উসকে উঠল দেশে। এবার ইদ পালন করা নিয়ে মুম্বইয়ের এক আবাসনে গোলমালে জড়িয়ে পড়লেন বাসিন্দারা। বকরি ইদ উপলক্ষে আবাসনে দুটি ছাগল নিয়ে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। কোরবানির উদ্দেশেই পশু দুটিকে আনা হয়েছিল। আর সেই আবাসনে এমনটা নতুন নয় বলেও দাবি ওই ব্যক্তির। কিন্তু এবার সেই কারণেই বাধল বিতর্ক। ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে রীতিমতো সুর চড়ালেন ওই আবাসনের হিন্দু বাসিন্দারা। এমনকি উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগানও। এখানেই শেষ নয়, এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে হনুমান চালিশাও পাঠ করেছেন ওই বাসিন্দারা।
আরও শুনুন: দলিত বলে জগন্নাথের সামনে যেতে পারেননি রাষ্ট্রপতি! দাবি নেটদুনিয়ার, সত্যিটা কী?
সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে মুম্বইয়ের মীরা রোডের একটি অভিজাত আবাসনে। ওই আবাসনের বাসিন্দা মহসিন শেখ জানিয়েছেন, বকরিদে কোরবানি দেওয়ার জন্য দুটি ছাগল নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই আবাসনে প্রায় ২০০-২৫০টি মুসলিম পরিবার বাস করেন। তাঁরা প্রতি বছরই কোরবানির জন্য ছাগল নিয়ে আসেন। আবাসনের মধ্যে প্রতি বছরই এমন ছাগল এনে বাঁধা থাকে। এতদিন এ ঘটনায় কোনোরকম আপত্তি জানাননি অন্য বাসিন্দারা। কিন্তু চলতি বছরেই ঘটল উলটপুরাণ। এমনিতেই আবাসন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছাগল রাখা যাবে না। সে কারণে নিজের ঘরেই ছাগল দুটিকে এনে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন আবাসনের হিন্দু বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের দাবি, সেখানে ছাগল নিয়ে আসা বা কোরবানি দেওয়া যাবে না। কিন্তু শুধুমাত্র পশুবলিতে তাঁরা আপত্তি জানিয়েছেন, ব্যাপারটা তেমন নয়। সে কথাই স্পষ্ট হয়ে যায় যখন তাঁদের প্রতিবাদে ধর্মীয় রং লাগে। জানা গিয়েছে, তর্কাতর্কির সময়ে চড়া গলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন কেউ কেউ। ওই মুসলিম বাসিন্দার সামনে একসঙ্গে হনুমান চালিশাও পাঠ করেছেন তাঁরা। খবর পেয়ে মীরা রোডের ওই আবাসনে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ছাগল দুটিকে আবাসনের বাইরে বের করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: মন ভরছে না পাঁচ স্ত্রীতেও! হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে মুসলিম যুবকের
ইদানীংকালে ধর্ম নিয়ে মাঝে মাঝেই দেশে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক জেগে উঠেছে। মুম্বইয়ের এই ঘটনাকে সেই তালিকায় নয়া সংযোজন বলেই মনে করছেন অনেকে।