লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দিরে পুজো দিয়েছেন মোদি। হাজির হয়েছেন দেশের অন্যান্য বিখ্যাত মন্দিরেও। প্রচারের আগে সেরেছেন প্রার্থনা। সেই তালিকায় এবার যোগ হল এমন এক মন্দির, যেখানে এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী যাননি। কোথায় রয়েছে এই মন্দির? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোটের আগে দেশের সমস্ত মন্দিরেই নেতাদের ভিড় বাড়ে। নির্বাচন জয়ের প্রার্থনায় ভগবানের পায়ে মাথা না ঠুকলেই নয়। তালিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম উপরের দিকেই রয়েছে। ভোটের আগে দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত মন্দিরে হাজির হন মোদি। তবে স্রেফ বিখ্যাত মন্দির বললে ভুল হবে। যেখানে এতদিন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায়, সেই মন্দিরেও এবার দেখা গেল মোদিকে।
আরও শুনুন: মোদির আমলে রেকর্ড চাকরি, ইতিহাসে এমনটা হয়নি! দাবি অর্থনীতিবিদের
চলতি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে প্রথম থেকেই আশাবাদী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন বক্তৃতায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেকথা ঘোষণা করেছেন। তাই বলে ভগবানের প্রতি অটুট বিশ্বাস হারাননি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছেন। কিছুদিন আগে অযোধ্যার রামমন্দিরেও দেখা গিয়ে মোদিকে। রামলালাকে সাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম সেরে অযোধ্যায় রোড শো করেন তিনি। সেই নিয়ে বিরোধীরা যাই বলুক, অযোধ্যার বিজেপি সমর্থকরা বেজায় খুশি হন। প্রধানমন্ত্রীকে একবার সামনে থেকে দেখার স্বপ্ন সত্যি হয় অনেকের। তবে স্রেফ অযোধ্যা নয়। ভোটের আগে দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মন্দিরেও হাজির হচ্ছেন মোদি। এমনই এক মন্দির নিয়ে সম্প্রতি চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই মন্দিরে স্বাধীনতার পর থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রী যাননি। এমনকি মন্দির সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকারের তরফে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি। কাজেই এমন এক মন্দিরে মোদি যাওয়া নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন সেখানকার মানুষজন।
আরও শুনুন: ফের মসনদে ফিরুন মোদিই, সমর্থনে বিশাল কার র্যালির আয়োজন প্রবাসীদের
কথা বলছি তেলেঙ্গানার শ্রী রাজা রাজেশ্বর স্বামী মন্দির সম্পর্কে। নির্বাচনের তৃতীয় দফার দিনেই ভেমুলয়াডার এই মন্দিরে পুজো দিতে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। মন্দিরের আরাধ্য দেবাদিদেব মহেশ্বর। নিষ্ঠাভরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আরতিতেও শামিল হতে দেখা যায় মোদিকে। কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে উত্তরীয় এবং তিলক পরিয়ে সম্মান জানানো হয়। পুজো শেষে মন্দির প্রাঙ্গনে পায়ে হেঁটে ঘুরতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। সেইসময় স্থানীয় জনতা বাইরে থেকে হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। প্রত্যুত্তরে হাতজোড় করে সম্মান জানান মোদিও। আসলে, এই মন্দির নতুন করে তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ১০০ কোটি টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তেমন কিছুই হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্দির দর্শনে নতুন করে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় অনেকেই। সবমিলিয়ে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি এখানে পুজো দেওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত স্থানীয় জনগণ।