মধ্যপ্রদেশের এক গ্রাম। বৃষ্টির দেখা নেই দীর্ঘদিন। প্রায় খরা হওয়ার মতো পরিস্থিতি। গ্রামবাসীদের ধারণা, দেবতার রোষেই এই দশা। সেই রোষ থেকে মুক্তি পেতে কী করলেন তাঁরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রামায়ণে পড়া যায় তপস্বী ঋষ্যশৃঙ্গের কথা। অঙ্গরাজ্যে যখন প্রবল অনাবৃষ্টি, সেসময় মুনিঋষিরা নিদান দেন, রাজকন্যা শান্তার কৌমার্য আর ঋষ্যশৃঙ্গের ব্রহ্মচর্য, এ দুয়ের মিলন হলেই বৃষ্টি নামবে রাজ্যে। বোঝাই যাচ্ছে, কুমারী নারীর সঙ্গে বৃষ্টিপাতের যোগ সম্পর্কে একটি মিথ ভারতে প্রচলিত রয়েছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। কিন্তু বিজ্ঞানের আশীর্বাদধন্য এই আধুনিক সময়েও কি কোথাও বেঁচে রয়েছে এমন বিশ্বাস? সম্প্রতি সেদিকেই নির্দেশ করল মধ্যপ্রদেশের একটি ঘটনা।
মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার বানিয়া গ্রাম। অনাবৃষ্টির জেরে সেখানকার জনজীবন নাজেহাল। চাষবাস তো দূর অস্ত। বেশিদিন এই দশা চললে খরা নেমে আসবে গ্রামের বুকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীদের মাথায় হাত। তাঁদের বিশ্বাস, রুষ্ট হয়েছেন বৃষ্টির দেবতা। আর দেবতার রোষ না মিটলে কাটবে না এই দুর্দিন। দেবতাকে তুষ্ট করতে কী করলেন তাঁরা?
আরও শুনুন: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঝুলছে পর্দা, তালিবানি জমানায় এভাবেই ক্লাস চলছে আফগানিস্তানে
তাঁরা যে পথ অবলম্বন করেছিলেন, তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নগ্ন হয়ে হাঁটছে এক নাবালিকা। তার পাশে পাশে ভজন গেয়ে চলেছেন এক দল মহিলা। তবে মাত্র একজন নয়, জানা যাচ্ছে, অন্তত ছ’জন কিশোরীকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে গ্রামে। দামোর জেলাশাসক এস কৃষ্ণ চৈতন্য জানিয়েছেন, এটি ওই অঞ্চলের স্থানীয় রীতি। রীতি অনুযায়ী, নগ্ন অবস্থায় হাঁটার সময় কিশোরী মেয়েদের কাঁধে থাকে লাঠিতে বাঁধা একটি ব্যাং। এই মেয়েদের সঙ্গে চলেন আরও কিছু মহিলা, যারা বৃষ্টির দেবতার স্তব করেন ভজন গেয়ে। গ্রামে ঘোরার সময় গ্রামবাসীদের থেকে শস্য সংগ্রহ করে মেয়েরা। পরিক্রমা শেষে গ্রামের মন্দিরে সেসব রান্না করে ভোজ হয়।
৫ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে দামোর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। ঘটনায় ওই মেয়েদের পরিবারও জড়িত বলেই মনে করছে প্রশাসন।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।