অনেকেই আছেন যাঁরা হয়তো শারীরিক কারণে যেতে পারেন না। কিংবা আর্থিক সামর্থ্যের কথা ভেবে, অনেকের মন চাইলেও কুম্ভে শামিল হতে পারেন না। মহামিলনের ভূমিতে ঠিক কী হচ্ছে, তা কল্পনা করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যে কোনও মেলার অভিজ্ঞতা মেলে আসলে অংশগ্রহণেই। সুতরাং কুম্ভে না গিয়ে, বাড়ি বসে কি আর তার স্বাদ পাওয়া যায়! তবে এবার থেকে একথা আর সেভাবে বলা যাবে না।
অমৃতকুম্ভের সন্ধানে লাখো ভক্তের সমাগম। পুণ্য অর্জনের জন্য জীবনে অন্তত একবার হলেও এই মহামিলনে শামিল হতে চান অনেকে। তাই কুম্ভের প্রস্তুতিতে সাজ-সাজ রব। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। তবে, ব্যতিক্রম একটি আছে বইকি! এবার ঘরে বসেই শামিল হওয়া যাবে এই মিলনমেলায়।
আরও শুনুন: কুম্ভমেলায় স্বাগত মুসলিমরাও, তবে বিশেষ শর্তে, যোগী আদিত্যনাথ বলছেন…
মহাকুম্ভের আকর্ষণ দুর্বার। তা নিয়ে যত বিতর্কই হোক না কেন, তা যত রাজনৈতিক মোড় নিক না কেন, একটিবার পুণ্যভূমে যাওয়ার সুযোগ কেউই ছাড়তে চান না। তবে, এমন অনেকেই আছেন যাঁরা হয়তো শারীরিক কারণে যেতে পারেন না। কিংবা আর্থিক সামর্থ্যের কথা ভেবে, অনেকের মন চাইলেও কুম্ভে শামিল হতে পারেন না। মহামিলনের ভূমিতে ঠিক কী হচ্ছে, তা কল্পনা করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যে কোনও মেলার অভিজ্ঞতা মেলে আসলে অংশগ্রহণেই। সুতরাং কুম্ভে না গিয়ে, বাড়ি বসে কি আর তার স্বাদ পাওয়া যায়! তবে এবার থেকে একথা আর সেভাবে বলা যাবে না। কেননা বাড়ি বসেও মহাকুম্ভে শামিল হওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রসার ভারতী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন ‘কুম্ভবাণী’ নামে বিশেষ এক চ্যানেলের কথা। মহাকুম্ভকে মাথায় রেখেই চালু হয়েছে এই চ্যানেল। সম্প্রচার পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কুম্ভমেলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য, খবরাখবর তো থাকছে। সেই সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসাবে থাকছে কুম্ভের ধারাবিবরণী। আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে আকাশবাণী অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেই ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন খোদ আদিত্যনাথও। এই সূত্রে তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর ছোটবেলায়। যখন এই সম্প্রচারে তিনি শুনতেন ‘রামচরিতমানস’। ঠিক একই ভাবে মহাকুম্ভের প্রতি মুহূর্তের বিবরণ যেন ছবির মতো হয়েই ধরা দেবে পুণ্যকামী সমস্ত মানুষের কাছে। এই উদ্যোগকে তাই সাধুবাদ জানিয়েছেন যোগী।
আরও শুনুন: কুম্ভে আগত হিন্দুদের গোলাপ দিয়ে বরণ করুন মুসলিমরা, পরামর্শ মৌলানার
ধারাবিবরণীর এই রেওয়াজ ভারতীয় সংস্কৃতিরই অঙ্গ। মহাভারতেই যেন এই ইঙ্গিত রাখা। যেখানে দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের বর্ণনা শোনাচ্ছেন সঞ্জয়। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। ভারতীয় জনমানস এই কথা দিয়ে ছবি আঁকার সঙ্গে অভ্যস্ত। এবার সেখানে সংযোজন কুম্ভের বিবরণী। মহাকুম্ভ নিয়ে মানুষের যেমন কৌতূহল আছে, তেমন আছে নানাবিধ ধোঁয়াশাও। এবার হয়তো কানে শুনে তা খানিক কাটবে। বা, কুম্ভে কী হয় আর না হয় তা সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল হবেন সাধারণ মানুষ। ঘরে বসেই চলবে এই অমৃতকুম্ভের সন্ধান, শুধু বাড়ির ছোট্ট রেডিওটি চালু করলেই হল।