সরকারি প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন সানি লিওন। সম্প্রতি এমনই তথ্য সামনে এসেছে। প্রতি মাসে মহিলা ভাতা হিসেবে ১০০০ টাকা ঢুকছে সানি লিওনের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু সত্যিই কি এমনটা সম্ভব? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও জালিয়াতি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পেশায় অভিনেত্রী। মডেল হিসেবেও বেশ পরিচিতি। একসময় নীল ছবিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। সেই সানি লিওন কিনা সরকারি প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন! তাও আবার প্রতি মাসে ১০০০টাকা। সম্প্রতি এমন তথ্য সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। বিষয়টা ঠিক কী, খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
সরকারি প্রকল্পে টাকা পাওয়া নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাসোহারার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলার ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ এই তালিকায় সবথেকে জনপ্রিয় বলা যায়! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় চালু এই প্রকল্পে রাজ্যের বহু মহিলা উপকৃত হয়েছেন। তাই এর অনুকরণে অন্যান্য রাজ্যেও শুরু হয়েছে মহিলাদের জন্য মাসোহারার ব্যবস্থা। ছত্তিসগড়ে এই প্রকল্পের নাম ‘মহত্রি বন্দন যোজনা’ (Mahatari Vandan Yojana)। আর সেখানেই উপভোক্তা হিসেবে নাম রয়েছে সানি লিওনের। শুধু তাই নয়, তাঁর স্বামী হিসেবে লেখা রয়েছে জনি সিন্সের নাম। ইনিও একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, তবে নীল ছবির জগতে। সুতরাং বিষয়টা যে ভুয়ো তাতে সন্দহ নেই। কিন্তু কে করেছেন এমনটা?
তদন্তে উঠে সেছে বীরেন্দ্র যোশীর নাম। ইনিই ভুয়ো নামে সরকারি সুবিধা নিচ্ছিলেন। তবে এমনটা করা মোটেও একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর সঙ্গে সরকারি কর্মীদের যোগ রয়েছে, এই সন্দেহও করা হচ্ছে। কারন সানি লিওনের নামে যে অ্যাকাউন্ট তা বিগত ৬ মাস ধরে সুবিধা নিয়েছে। এবং প্রতিবার সরকারি কর্মীরাই বিষয়টাকে ভেরিফায়েড তকমা দিয়েছেন। কারা সেই কাজ করেছেন খোঁজ চলছে। আপাতত বীরেন্দ্র যোশী নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা ভেবেছে প্রশাসন। যদিও এমন অভিযোগ নতুন নয়। সে রাজ্যের বিরোধীরা দাবি করেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা অধিকাংশই ভুয়ো। এতদিন প্রমাণ মিলত না, এবার হাতেনাতে সামনে এল তথ্য। তাই বিষয়টা নিয়ে জলঘোলা হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে সানি লিওনের নামে পরীক্ষার ফর্ম ভরেছিলেন এক যুবক, তাতেও বেজাই হইচই হয়েছিল। কিন্তু এইভাবে সরকারি প্রকল্পে তাঁর নাম জড়ানোয় নতুন বিতর্ক উসকে উঠেছে।