হিন্দুরা সহিষ্ণু। তবে, তাই বলে হিন্দু দেবদেবীর প্রতি অপমান কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। আর তাই নতুন আইন চাইছেন বিজেপি নেতা। আসুন শুনে নেওয়া যাক তাঁর বক্তব্য।
হিন্দু দেবদেবীদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশে ইতি টানা উচিত। এই মর্মেই এবার নতুন আইনের প্রস্তাব দিলেন বিজেপি নেতা অশোক বাজপেয়ী। ধর্মীয় বিষয়ে অশ্রদ্ধা প্রকাশ রুখতে বহু দেশেই এরকম আইন আছে। সেই দৃষ্টান্ত টেনেই ভারতের জন্যও নতুন আইন রচনার দাবি তুললেন তিনি।
আরও শুনুন: নেপথ্যের শিল্পী, উস্তাদ জাকির হুসেনের জন্য তবলা বানান যে রামচন্দ্র
নেতার বক্তব্য, হিন্দুরা বরাবর সহিষ্ণু হিসাবেই পরিচিত। তবে, তার সুযোগও কেউ কেউ নিয়ে থাকেন। আর তাই ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত হানতে দ্বিধা করেন না। নানা ক্ষেত্রে এর উদাহরণ মেলে। নেতার দাবি, অনেক সময় কোনও লেখায় বা ছবিতেও এই অশ্রদ্ধা-অপমান প্রকাশ হয়ে পড়ে। তা বন্ধ হওয়া উচিত হলেই মনে করছেন তিনি।
সাম্প্রতিক অতীত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ঘটনা বারবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য থেকেই এই অসন্তোষ ঘনিয়ে উঠেছে। কখনও দেব-দেবীর ছবি বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার সিনেমার দৃশ্যে বা সমালোচনামূলক লেখায় এমন কোনও বিশয়ের অবতারণা হয়েছে, যা হিন্দুদের বিশ্বাসের পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে। এই রকম ঘটনা নিয়ে নেটদুনিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে, সাময়িক কোনও ফয়সালায় পৌঁছে বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হয়। এই প্রেক্ষিতেই নেতা চাইছেন, এবার একটা আইন আনা হোক, যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। লিখিত মাধ্যম বা দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমেও এমন কোনও প্রসঙ্গ যাতে না আসে, যা একটি সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের পরিপন্থী। বিশেষত, হিন্দু দেব-দেবীদের অপমান করা যেন বন্ধ হয়। তাঁর মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দুদের সহিষ্ণুতাকে দুর্বলতা হিসাবেই দেখা হয়। আর তাই একই রকম ঘটনা ঘটতেই থাকে। তবে, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন যদি দেশে থাকে তাহলে এই ধারাবাহিকতায় রাশ টানা সম্ভব। সম্পত্তি রাজ্যসভায় তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। লেখা, সিনেমা বা ছবি- সব ক্ষেত্রই এই আইনের আওতায় আসুক, এমনটাই তাঁর অভিমত।
আরও শুনুন: অযোধ্যা লতা মঙ্গেশকরেরও, ৪০ ফুটের বীণায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাম-ই
এখনই সেরকম কোনও আইন বাস্তবায়িত হবে কি-না তা অবশ্য বলা যাচ্ছে না। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, একই সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় অহিংসা শব্দটি ফেরানোরও প্রস্তাব এসেছে রাজ্যসভায়। সেই প্রস্তাব দিয়েছে বিজেডি দলের সাংসদ। অহিংসা আসলে সহিষ্ণুতার কথাই বলে। আবার সেই সহিষ্ণুতার প্রশ্নেই হিন্দু ধর্মে আঘাত বন্ধ করতে নতুন আইন প্রস্তাবও এল। দুই প্রস্তাবনাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।