ওটিটি দুনিয়ায় সাম্প্রতিক কালে যেসব ওয়েব সিরিজ দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার মধ্য অন্যতম ‘পঞ্চায়েত’। সহজ গল্প বলার ঢঙে অনেক কথাই বলে গিয়েছে সিরিজটি। তবে সে গল্পের সবটাই যে গল্প নয়, সেসব গল্প যে আকছার বাস্তবেও ঘটে, তা প্রমাণ করেছে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার একটি গ্রাম। কী এমন ঘটেছে সেখানে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
পঞ্চায়েত প্রধানের পদে মহিলাদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ থাকায় ভোটে দাঁড়াতে পারেননি ব্রিজভূষণ দুবে। অগত্যা স্ত্রীকেই দাঁড় করিয়েছিলেন ভোটে। আর সেই ভোটে জিতেও যান স্ত্রী মঞ্জুদেবী। খাতায়-কলমে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হলেও যাবতীয় দায়িত্ব সামলান ব্রিজভূষণই। বাড়ির কাজকর্মেই ব্যস্ত থাকেন মঞ্জু। রাজনীতির বিষয়ে বিশেষ মাথা গলান না তিনি। গ্রামের মানুষও ব্রিজভূষণকেই প্রধান বলে মানেন।
আরও শুনুন: হাসির পাত্র নন, দ্বিতীয় পর্বে বেশ ছকভাঙা ‘পঞ্চায়েত’-এর প্রধানজি, খেয়াল করেছেন?
এ তো গেল ফুলিয়ার গল্প। যে গ্রামকে পর্দার মাধ্যমে ভালবেসেছিলেন আপামর দর্শক। তবে এমনটা শুধু গল্পেই হয় ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। এসব ঘটে বাস্তবেও। বিশ্বাস না হলে শুনে নিন মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার এই গ্রামের গল্প। সদ্য গ্রামের পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছেন স্ত্রী। তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। না, তিনি নন, বরং তাঁর বদলে শপথ নিলেন তাঁর স্বামী। আর সে কথা জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দায়ের হয়েছে অভিযোগও। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও শুনুন: একজন করেছেন তুলো বিক্রি, অন্যজন আচমকাই অভিনয়ে… এই দুজনের জাদুতে এখন বুঁদ দর্শক
শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসেই। সেখানেই প্রশাসকের সামনে শপথ নেন ওই ব্যক্তি। ব্যাপারটি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অবশ্য জানান, তাঁর স্ত্রী ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সে কারণেই স্ত্রীর জায়গায় পঞ্চায়েত প্রধানের পদে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছেন নেটিজেনরা। এ তো অবিকল ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের থেকে তুলে আনা গল্প। যা শুনে বিস্ময়ের শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। সব মিলিয়ে এ যেন একেবারে গল্প হলেও সত্যি।