বন্ধুর অনুরোধে বিয়ের ছবি তুলছিলেন এক ফটোগ্রাফার। বেলা ১১টা থেকে কাজ শুরু করেন তিনি। সাড়ে সাতটা অবধি কাজ চলার কথা ছিল। কিন্তু বরের খারাপ আচরণে বিকেল ৫টাতেই কাজ বন্ধ করে দেন। এমনকী বিয়েবাড়ি ছাড়ার আগে বিয়ের সব ছবি ডিলিট করে দিলেন তিনি। কেন করলেন এমন কাজ?
বিয়ের ছবি বলে কথা! জীবনের বিশেষ দিনটির স্মৃতিকে অমলিন করে রাখতে মোটা টাকা খরচ করেন সকলেই। আজকাল তো প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুটেরও রেওয়াজ হয়েছে। ভাবুন, বর-বধূর সমানে দাঁড়িয়ে সেই সব সাধের ছবি ফটোগ্রাফার ডিলি়ট করে দিলেন! কেমন লাগবে? ফটোগ্রাফারটিকে সাক্ষাৎ জল্লাদ মনে হবে তো? কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হল, এমনটা কেন করলেন ওই ফটোগ্রাফার?
ফটোগ্রাফারটি জানিয়েছেন, তিনি ছবি তোলেন বটে, তবে পেশাদার নন। আগে কখনও বিয়ের ছবি তোলেননি। তবু বন্ধুর অনুরোধে রাজি হয়েছিলেন। যদিও বিনামূল্যে কাজ করেননি। আর্থিক চুক্তি হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, বেলা ১১টা থেকে ছবি তোলা শুরু করেছিলেন তিনি। সাড়ে ৭টা অবধি কাজ করার কথা ছিল। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ বিয়ের আসরে খাবার পরিবেশন শুরু হয়। ফটোগ্রাফার জানাচ্ছেন, ওই সময় তাঁর খুব খিদে পেয়েছিল। বরকে সে কথা তিনি জানান। বলেন, না খেয়ে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু সে কথায় কেউ পাত্তা দেয়নি। মেজাজ দেখিয়ে বরং তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। তাঁর জন্য খাবার টেবিলে বসার জায়গাও রাখা হয়নি।
আরও শুনুন: ‘ভাল রান্না করে’, রাইস কুকার-কে বিয়ে করে সকলকে অবাক করলেন যুবক
ফটোগ্রাফার আরও জানাচ্ছেন, বিয়ের আসরে খুব গরম ছিল। এসির ব্যবস্থাও ছিল না। তাছাড়া সকাল থেকে ছবি তুলে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। খিদে তো পেয়েছিলই। সবটা মিলিয়ে মেজাজ হারান তিনি। এবং বরের সামনে দাঁড়িয়েই সব ছবি ডিলিট করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কিন্তু ফটোগ্রাফারের পাশেই দাঁড়িয়েছে অধিকাংশ মানুষ। সমালোচনা হয়েছে বরের অমানবিক আচরণের। তবে, কেউ কেউ সামান্য নরম সুরে বলেছেন। বিয়ের ছবি বলে কথা! ডিলিট করাটা বোধ হয় ঠিক হয়নি। বরং ছবিগুলোকে তিন-চার গুণ দামে বিক্রি করতে পারতে। তাতেও শাস্তি হত উদ্ধত বরের আচরণের।