উদ্ধারের অপেক্ষায় বিশ্বের বৃহত্তম গুপ্তধনের ভাণ্ডার। ৩৪ বছর তল্লাশি চালানোর পর সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে গুপ্তধন সন্ধানীদের একটি দল। কোথায় রয়েছে ২০ কোটি ডলার মূল্যের এই গুপ্তধন?
১৯৮৭ সাল থেকে একটি বিশেষ গুপ্তধনের সন্ধান চালিয়ে আসছিল একটি গুপ্তধন সন্ধানী দল। সম্প্রতি তারা দাবি করেছে, সন্ধানের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে তারা। গুপ্তধন হাতে পাওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। মনে করা হচ্ছে, এই গুপ্তধনের মূল্য দাঁড়াবে অন্তত ২০ কোটি ডলার, যা হারিয়ে দেবে এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব গুপ্তধনকেই। ঐতিহাসিক এবং গবেষকদের ধারণা, ওই গুপ্তধনের সম্ভারে রয়েছে হিরে, পান্না-সহ ৫০ হাজারেরও বেশি দামি রত্ন, এবং প্রাচীন পুরাতত্ত্বের কিছু নিদর্শন।
আরও শুনুন: অন্তর্বাস দেখিয়ে মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপন! ‘হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত’, নেটিজেনের কাঠগড়ায় ডিজাইনার সব্যসাচী
কী ভাবছেন? জলদস্যুদের লুকিয়ে রাখা ধনসম্পদ, কিংবা দুর্ধর্ষ ডাকাতদের লুঠের সম্পত্তি লুকিয়ে রাখা নিয়ে কত গল্পই তো শোনা যায়। তার অধিকাংশই নিছক গল্প বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এই একুশ শতকে দাঁড়িয়ে গুপ্তধন বলে কিছু হয় নাকি? কিন্তু যে বিশেষ গুপ্তধনের কথা বলছি, তা ঠিক এই গুজবের তালিকায় পড়ে না। ফিনল্যান্ড এলাকায় এই গুপ্তধন সঞ্চিত রয়েছে বলে মনে করা হয়। একে চিহ্নিত করা হয় লেমিনকাইনেন হোর্ড নামে। লেমিনকাইনেন হলেন ফিনল্যান্ডের পুরাণের এক চরিত্র। ১৯৮৪ সালে নিজেকে এই লেমিনকাইনেন-এর সরাসরি বংশধর বলে দাবি করে বসেন ইয়র বক। সুওমেনলিনার দ্বীপ দুর্গে ট্যুর গাইড এবং পুরাণবিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন বক। তিনি ঘোষণা করেন, তাঁর পরিবার ফিনল্যান্ডের প্রাচীন লোকগাথা এবং পেগান সংস্কৃতির রক্ষক। হঠাৎ এই দাবি কেন করলেন বক? তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালেই তাঁর মা-র মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার সময় তাঁর মা নির্দেশ দেন, তাঁদের পরিবারের এই প্রাচীন ইতিহাস এবং গুপ্ত ধনসম্পদের কথা যেন সারা পৃথিবী জানতে পারে। সেইভাবেই প্রথম জানা গিয়েছিল লেমিনকাইনেন হোর্ড-এর কথা। বক জানান যে, কোনও এক অজানা গুহার মধ্যে, মাটির গভীরে অবস্থিত কোনও এক মন্দিরে লুকনো আছে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম গুপ্তধন সম্ভার।
শুনে নিন বাকি অংশ।