অফিসেও মিলবে মদ্যপানের সুযোগ। কাজের ফাঁকে বিয়ার কিংবা ওয়াইন খাওয়ায় কোনও বাধা থাকবে না। সম্প্রতি এমনই নিয়ম জারি করেছে হরিয়ানা সরকার। কোন শর্তে অফিসে বসে মদ্যপানের সুযোগ পাবেন কর্মীরা? আসুন শুনে নিই।
অফিস চলাকালীন মদ্যপান। দেশের অধিকাংশ সংস্থার কর্মীরাই এমনটা ভাবতেও পারেন না। এমনকি অফিস চলাকালীন বাইরে গিয়ে মদ্যপানেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বেশ কিছু সংস্থায়। কিন্তু এই নিয়ম এবার সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে হরিয়ানার কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে। সেখানকার কর্মীরা অফিসে বসেই ইচ্ছামতো মদ্যপানের সুযোগ পাবেন। বিয়ার, ওয়াইন-সহ বেশ কিছু অ্যালকোহলজাত পানীয় অফিসে বসেই খেতে পারবেন তাঁরা।
আরও শুনুন: হিন্দু গড়ে শান্তিতেই আছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা! অযোধ্যায় হেলায় জিতলেন মুসলিম প্রার্থী
আর এমনটা হতে চলেছে সরকারি নির্দেশ মেনেই। বিদেশী সংস্থাগুলিতে অফিস চলাকালীন কর্মীদের মদ্যপান খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। অধিক মাত্রায় অ্যালকোহল নেই এই পানীয় প্রকাশ্যেই খেতে দেখা যায় বেশ কিছু দেশের নাগিরিকদের। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে সেই ছবি একেবারেই আলাদা। এখানে প্রকাশ্যে মদ খাওয়া আইনসিদ্ধ নয়। তাই অফিসে বসে মদ খাওয়াও প্রায় নিষিদ্ধ বললেই চলে। তাই এমনটা কেউ করছেন শুনলে, রীতিমতো অবাক হন অনেকেই। তবে সম্প্রতি এমনই অদ্ভুত নির্দেশিকা জারি করেছে হরিয়ানা সরকার। সদ্য পাশ হওয়া এক্সাইস পলিসি অনুযায়ী, রাজ্যের কর্পোরেট সংস্থাগুলি কর্মীদের বিয়ার কিংবা ওয়াইন সরবরাহ করতে পারবে বলেই জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আরও কিছু পানীয় যাতে অ্যালকোহলের মাত্রা একেবারেই কম, সেগুলিও অফিসে বসেই খেতে পারবে কর্মীরা। যদিও এক্ষেত্রে কিছু শর্তও রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সংস্থায় অন্তত ৫০০০ কর্মী নিযুক্ত থাকতে হবে। সেইসঙ্গে অফিসের আয়তন এক লক্ষ বর্গফিটের বেশি হতে হবে। এই দুটি শর্ত মিললেই কর্মীদের মদ্যপানের সুযোগ দিতে পারবে যে কোনও সংস্থা। এক্ষেত্রে গুরগাঁওয়ের বেশ কিছু অফিসের কর্মী এমন সুযোগ পাবেন।
আরও শুনুন: জোর করে মহিলার ধর্ম পরিবর্তন মুসলিম ব্যক্তির! অভিযোগ পেয়ে বিশেষ পদক্ষেপ আদালতের
যদিও এই সুযোগ পেতে গেলে সরকারকে প্রতি বছর ১০ লক্ষ টাকা টাক্স হিসেবে দিতে হবে ওই নির্দিষ্ট সংস্থাকে। তবেই মিলবে লাইসেন্স। ঠিক যেমন কোনও বার বা পাব নির্দিষ্ট সময়ের জন্য , যার বিক্রির লাইসেন্স পায়। এই সংস্থাগুলিকেও সেরকমই একটি লাইসেন্স দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কোন কোন ধরনের পানীয় সংস্থার কর্মীদের জন্য রাখা যাবে, তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মূলত ২ শতাংশের কম অ্যালকোহল রয়েছে এমন পানীয়ের নামই লেখা রয়েছে। তবে তাতে কি! অফিসে বসে এইটুকু সুযোগ পেয়েই বেজায় খুশি সে রাজ্যের কর্পোরেট কর্মীরা। বিশেষত সুরাপ্রেমীদের জন্য এই সুযোগ খুবই আকর্ষনীয়। ভবিষ্যতে এই বিশেষ সুবিধার দরুন কর্মীরা আরও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরাও।