সব হচ্ছে, শুধু চাকরি হচ্ছে না! বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের। এদিকে অর্থনীতিবিদ বলছেন, মোদির আমলেই রেকর্ড চাকরি। নিজের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে কী পরিসংখ্যান দিলেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চলতি নির্বাচনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির সমস্যাকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। পালটা দুর্নীতি অস্ত্রে শান দিয়েছেন মোদিও। তবে বেকারত্ব নিয়ে কার্যত চুপই থেকেছেন বলা যায়। বিরোধীরা সেই নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তবে এবার মোদির হয়ে ব্যাট ধরলেন অর্থনীতিবিদ সুরজিত ভাল্লা। তাঁর দাবি, মোদির আমলেই রেকর্ড চাকরি। অর্থাৎ মোদি সরকারের জমানাতেই সবথেকে বেশি চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদ।
আরও শুনুন: মশলায় মিশছে কাঠের গুঁড়ো! দিল্লির ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে গোটা দেশেরই
যে কোনও সমাজেই বেকারত্ব ব্যাধির মতো। শিক্ষিত যুব সমাজ কাজ না পেলে তা রাষ্ট্রের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সামগ্রিকভাবে ক্ষতি হয় দেশের। আর সেই দায় নিতে হয় সরকারকেই। এ নিয়ম আজকের নয়। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সমস্যায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। নির্বাচন এলেই সরকার পক্ষের এই ব্যর্থতা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। চলতি নির্বাচনেও ব্যতিক্রম হয়নি। সরকার মানুক বনা মানুক, বেকারত্ব ইস্যুতে নির্বাচনী প্রচারে রীতিমতো সরব হচ্ছেন বিরোধী নেতারা। এই আবহে অর্থনীতিবিদ সুরজিত ভাল্লা একেবারে উলটো সুরে গাইলেন। একসময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অর্থনৈতিক উপদেষ্ঠা ছিলেন সুরজিত। আইএমএফ-এর ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন বহুদিন। সেই বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদের দাবি, মোদি জমানাতেই রেকর্ড চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর এমনটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম বলেই মনে করছেন তিনি। এক্ষেত্রে সরাসরি কংগ্রেস আমলের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন সুরজিত। তাঁর কথায়। ২০০৩ থেকে ২০১৪ অবধি চাকরির বাজারে ভয়ানক আকাল দেখা দিয়েছিল। যা মোদি জমানায় সম্পূর্ণভাবে কেটেছে। শুধু তাই নয়, বিগত ৭-৮ বছরে প্রায় ১ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। যা বিজেপি সরকারের অভাবনীয় সাফল্য বলেই মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে অটল বিহারী বাজপেয়ির বিজেপি জমানার কথাও মনে করান সুরজিত। তাঁর দাবি, সেই সময়ও চাকরির বাজার সুযোগে ভরা ছিল।
আরও শুনুন: AI শোনাচ্ছে নেতার বক্তব্য! নয়া মডেল চমকদার, তবে আগামীতে সমস্যা বাড়বে না তো?
সম্প্রতি ভারতের যুব সমাজের বেকারত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক রিপোর্ট হইচই ফেলে দেয়। সেই রিপোর্টের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়েই মোদি জমানার কথা বলেন সুরজিত। তবে শ্রম সংস্থার রিপোর্ট যে ভুল সে কথাও বলেননি তিনি। বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি খুব একটা আলাদা নয় বলে দাবি সুরজিতের। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ কমে আসার কথাও মনে করান সুরজিত। বেকারত্ব সমস্যার ক্ষেত্রে এই কারণটাই বড় করে দেখছেন অর্থনীতিবিদ। তবে সরকার বিষয়টা নিয়ে পদক্ষেপ করবে বলেই মনে করছেন সুরজিত। যা আগামীদিনে চাকরির সুযোগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন তিনি।