দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ রাজ্যে। রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। ৫ মাস পর ছাড়পত্র নবান্নের। নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। রাজ্যে আরও শিথিল হল করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- মাদক মামলায় জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান
আরও শুনুন: 27 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো যাবে ২ ঘণ্টা, অনুমতি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের
বিস্তারিত খবর:
1. উৎসবের মরশুমে রাজ্যে নিষিদ্ধ বাজি। দীপাবলি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ফাটানো যাবে না পরিবেশবান্ধব বাজিও। জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত বছরও করোনা আবহে একই নির্দেশিকা বহাল রেখেছিল হাই কোর্ট।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্গাপুজোর সময় সাধারণ মানুষের লাগামছাড়া মনোভাবে বেড়েছে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রোশনি আলি নামে এক সমাজকর্মী। ওই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলা হয়, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত বা করোনাজয়ী, বাজি ফাটলে তাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পুলিশের পক্ষে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তাই রাজ্যে উৎসবের দিনগুলিতে সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ। এমনকি বর্ষবরণের রাতেও ফাটানো যাবে না বাজি। বাজি বিক্রিও করা যাবে না। ফলে হয়তো ৩৩ লক্ষ বাজি বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবুও জীবনের থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থ বড় হতে পারে না। হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাজি ফাটাচ্ছে বা বিক্রি করছে কিনা, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব পুলিশেরই।
1. অবশেষে আমজনতার দাবি মতো রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। শুক্রবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে মিলবে পরিষেবা। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। যাত্রীদের সমস্ত রকম কোভিডবিধি মানতে হবে।
গত মে মাসে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করার ফলে বছ করা হয়েছিল রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তাতে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার অফিসযাত্রী। ক্ষুব্ধ হয়ে বহু জায়গাতেই অবরোধ-বিক্ষোভে শামিল হন বহু মানুষ। তা সত্ত্বেও বারবারই নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কোনওভাবেই নিত্যযাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
করোনা আবহে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘স্টাফ স্পেশ্যাল’ ট্রেন চালু ছিল। তবে বর্তমানে রাজ্যে ‘পেট্রল স্পেশ্যাল’ ট্রেন চলছে। তবে সেই ট্রেনের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় সমস্যায় ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। লোকাল ট্রেন চালু করার এই সিদ্ধান্তে তাই খুশি সাধারণ মানুষ। যদিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর এই সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।